আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরিবারের মোট সদস্য ১১ জন। অ্যামান্ডা ও ক্লাইভ তাঁদের ন’সন্তানকে নিয়ে বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছিলেন। ইংল্যান্ডের ইয়র্কশয়্যারে বেশ বড় বাড়ি। বিশাল বড় খামার রয়েছে তাঁদের। স্বামী-স্ত্রী মিলে খুব যত্ন করে এই খামারটি তৈরি করেছেন। পরিবারের সকলেই খামারের সঙ্গে জড়িত।
সন্তানদের বয়স পাঁচ বছর থেকে একুশ বছর। স্থানীয়দের কাছে এই পরিবার ‘কার্ডাশিয়ান্স অব কান্ট্রিসাইড’ নামেও পরিচিত। ইনস্টাগ্রামে অ্যামান্ডা ‘ইয়র্কশয়্যারশেপার্ডেস্’ নামে রয়েছেন। নিজের ছেলেমেয়েদের ছবি, খামারের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করেন মাঝেমধ্যেই। ছবিগুলি দেখে যেন তাঁদের জীবন এক রূপকথার কাহিনির মতো মনে হয়।
কিন্তু বাস্তবে আর রূপকথার অস্তিত্ব কোথায়? অ্যামান্ডা আর ক্লাইভের সম্পর্কেও চিড় ধরতে শুরু করেছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু পর্দার আড়ালে সব চাপা পড়তে থাকে।
তাঁদের জীবনধারাকে দর্শকের সামনে তুলে ধরার জন্যে বহু টেলিভিশন চ্যানেল থেকে ‘ডকুমেন্টারি’ বানানো হয়। অ্যামান্ডা প্রথম থেকেই, সব কিছু নিয়ে বেশ উৎসাহী। বরং, ক্লাইভের আগ্রহই ছিল কম।
ক্যামেরার সামনে অ্যামান্ডা ঠিক যতটাই মিশুকে, তাঁর স্বামী ঠিক ততটাই লাজুক। তাই সকলেই অ্যামান্ডার সঙ্গে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন। অ্যামান্ডার লেখা কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। ধীরে ধীরে যশোলাভের নেশায় মত্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
কখনও কখনও তাঁকে একা একাই শ্যুট করতে দেখা যেত। কর্মসূত্রে তাঁকে বাড়ির বাইরেও যেতে হত। আগে যে পরিবারকে এক সুতোয় বাঁধা থাকা দেখা যেত, সেই বাঁধনই আলগা হয়ে যাচ্ছিল।
অ্যামান্ডা তাঁর ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে প্রেম করছেন বলেই অনেকের ধারণা। দিনের বেশির ভাগ সময় তাঁর সঙ্গেই সময় কাটান অ্যামান্ডা। তবুও এই সম্পর্ক তাঁর পেশাগত জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে লুকিয়ে গিয়েছিলেন।
তবে শেষ পর্যন্ত অ্যামান্ডা নেটমাধ্যমে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বাচ্চাদের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব রয়েছে। খামারের কাজও তাঁরা এক সঙ্গেই করবেন। এমনকি, ক্যামেরার সামনেও তাঁদের আগের মতোই দেখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।