জুমবাংলা ডেস্ক : একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোরবানির পশুর চামড়া। তবে এ নিয়ে প্রচলিত আছে অনেক ভুল ধারণা। যেমন, কেউ মনে করেন কোরবানির পশুর চামড়া মানেই সেটা গরিবদের হক। আবার কেউ এ চামড়া বিক্রি করতে না পেরে সেটা ফেলেও দেন। দুটো ধারণা বা কাজই ভুল। প্রশ্ন ওঠে- কসাইকে কি কোরবানির চামড়া দেওয়া যাবে?
কোরবানির চামড়ার বিক্রিত মূল্য কসাই কিংবা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে হজরত আলি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে তাঁর কোরবানির পশুর দেখাশোনার নির্দেশ দিয়েছেন। পশুর গোশত, চামড়া ও ওপরে থাকা চাদর সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলোর কোনো কিছু কসাইকে দিতে নিষেধ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৪০৭)।
এ থেকে বোঝা যায়, যে ব্যক্তি কোরবানি করবে, সে কোরবানির চামড়া বিক্রি করে সেই মূল্য নিজের কাজে লাগাতে পারবে না এবং তা দিয়ে কসাইয়ের মজুরিও দিতে পারবে না। তবে যদি ওই কসাই বা শ্রমিক জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হয় তবে পারিশ্রমিকের বাইরে তাকে চামড়ার বিক্রিত মূল্য দেওয়া হলে তা সদকা হিসেবে বিবেচ্য হবে।
তবে চামড়া বিক্রি করা হলে সেই টাকা কিছুতেই কোরবানিদাতা নিজে খরচ করতে পারবেন না। কোনো ধনীকেও ঐ টাকা উপহার দিতে পারবেন না। জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিকেই ঐ টাকা দান করতে হবে।
জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদের চামড়ার বিক্রিত মূল্য দান করতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামি স্কলারগণের অভিমত হলো, সুযোগ থাকলে নিজের গরিব আত্মীয়দের দিতে হবে।
কোরবানিদাতা চাইলে ঐ চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং ইসলামে এ কাজে উৎসাহও দেওয়া হয়েছে। আবার চাইলে কোরবানিদাতা এ চামড়া ধনী বা গরিব যে কাউকে উপহার দিতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।