জুমবাংলা ডেস্ক : সাধারণত কোরবানির গোশত আত্মীয়-স্বজন ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বিতরণ করার পর এই গোশতের মালিক তখন আর কোরবানিদাতা থাকে না। যাকে দেওয়া হলো, তিনিই মালিক। মালিক হিসেবে এই গোশত তিনি যা খুশি করতে পারবেন।
কোনো দরিদ্র ব্যক্তি হয়ত ১০-১৫ কেজি গোশত অন্যের থেকে পেয়ে থাকেন। তিনি তো একসঙ্গে সেই গোশত রান্না করতে পারবেন না। অথবা তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে।
আবার শুধু গোশত নয়, তার মসলা, চাল, ডালও লাগবে। সেক্ষেত্রে গোশত বিক্রি করে তিনি হয়ত সেই জিনিসপত্র সংগ্রহ করবেন। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গোশত সংগ্রহ করা অনুচিত কাজ।
এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যে, এমন ব্যক্তির হাতে কোরবানির গোশত দেয়া যাবে না যে গোশত বিক্রি করে নেশা করবে বা কোনো হারাম কাজে লিপ্ত হবে। যে কাউকে কোনো কিছু দান করলে তার ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে অবশ্যই।
কোরবানির পশু থেকে গোশত খাওয়া ছাড়া অন্য কোনোভাবে উপকৃত হওয়ার সুযোগ নেই। তাই কোরবানির গোশত বেচাকেনা করা জায়েজ নেই। একইভাবে কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদিও বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেই সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে।
হাদিসে এসেছে, আলি ইবনে আবু তালিব (রা.) বলেন, ‘নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তার (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)
কোরবানির পশুর হাড়ও বিক্রি করা যাবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। (বাদায়িউস সানায়ি ৪/২২৫)
অবশ্য কাজের লোককে কোরবানির গোশত দেওয়া যাবে। তবে তা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নয়। কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েজ নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।