ধর্ম ডেস্ক : কোনো এক ভাই পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হতে বিলম্ব হচ্ছিল বলে একজন আলেমের পরামর্শে এবং বন্ধুদের সহযোগিতায় গোপনীয়তা রক্ষা করে বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ের কিছুদিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীকেই পাত্রী হিসেবে পরিবারের কাছে উপস্থাপন করেন এবং সামাজিকভাবে দ্বিতীয়বার তাঁদের বিয়ে হয়। প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় বিয়েতেও স্ত্রীর জন্য মোহর নির্ধারণ করা হয়।
প্রশ্ন হলো, সামাজিকতা রক্ষার্থে নিজের স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করা যাবে? আর দ্বিতীয় বিয়েতে নির্ধারিত মোহর পরিশোধ করা তার জন্য আবশ্যক কি না?
প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, প্রথমবার বিয়ে করার পর যদি বৈবাহিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যায়—এমন কোনো ঘটনা না ঘটে, তবে দ্বিতীয় বৈবাহিক বন্ধন (চুক্তি বা অঙ্গীকার) অর্থহীন বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে স্বামী বা স্ত্রীর ওপর কোনো কিছু আবশ্যক হবে না এবং নতুন কোনো আত্মীয়তা ও সম্পর্ক প্রতিস্থাপিত হবে না।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লিখিত ব্যক্তির দ্বিতীয় বিয়ে অর্থহীন ও বাতিল বিবেচিত হবে এবং দ্বিতীয় বিয়েতে নির্ধারিত মোহর পরিশোধ করাও তাঁর জন্য আবশ্যক নয়। তিনি স্ত্রীকে প্রথমবার বিয়ের সময় নির্ধারিত মোহর পরিশোধ করবেন।
প্রথমবারের মোহর যদি কম হয় এবং দ্বিতীয়বারের মোহর বেশি হয়, তবে স্বামী চাইলে অধিক মোহর দিয়ে স্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারবেন। একইভাবে যদি দ্বিতীয়বারের মোহর কম হয় এবং স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে স্ত্রী সেটাতেই সম্মত হন, তবে তারও অবকাশ আছে।
উল্লেখ্য, প্রশ্নে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে পাত্রের জন্য উত্তম হলো, একটু দেরিতে হলেও পরিবারের সম্মতি নিয়ে বিয়ে করা। কেননা বিয়ে একটি সামাজিক বিষয় এবং ইসলাম তা সামাজিকভাবে করার নির্দেশ দেয়।
আর বিয়ে করে ফেললে তা পরিবারের কাছে প্রকাশ করা। কেননা ইসলাম অর্থহীন কথা কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে।
ইসলাম কিউএডট ইনফো অবলম্বনে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।