আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে কানাডায় পাড়ি জমানো কয়েকশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর জন্য স্বস্তির বার্তা দিয়েছেন কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেজার। ভিসা জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, যে সব শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনার আন্তরিক আকাঙ্খা নিয়ে এসেছে এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়েছে, তাদেরকে অস্থায়ী পারমিট দেওয়া হবে। তবে যে শিক্ষার্থীরা কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ভুয়া কাগজপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে জমা দিয়েছে, তাদেরকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। খবর দ্য ট্রিবিউন।
শন ফ্রেজার বলেছেন, যে সব বিদেশি শিক্ষার্থী ভিসা জালিয়াতিতে জড়িত নয় বলে তদন্তে বেরিয়ে আসবে, তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে না। যারা সত্যিকার অর্থে পড়াশোনা করতে এসেছে এবং কাগজপত্র জালিয়াতি সম্পর্কে অবহিত ছিল না, তাদের জন্য অস্থায়ী পারমিট ইস্যু করা হবে, যাতে তারা কানাডায় থাকতে পারে।
এর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, বিশেষত পাঞ্জাব থেকে যাওয়া বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে ধরা পড়ে। এদের অনেকে কানাডার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ভুয়া নথি বহন করছিল, কানাডীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল এক্সেপটেন্স লেটার জমা দিয়ে ভিসা নিয়েছিল, অনেকের আইইএলটিএস স্কোর ছিল ভুয়া। ভারতের কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র আইইএলটিএস টেস্টে কারচুপি ও নকলবাজির সুযোগ দেয় বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষাগত দক্ষতা ও ভর্তি সংক্রান্ত ভুয়া কাজপত্র নিয়ে কানাডায় পৌঁছানো ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিলে ভারত সরকার তৎপর হয়ে ওঠে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কানাডা সরকারের সঙ্গে জোর তদবির শুরু করে এবং শিক্ষার্থীদের দিকটি মানবিকভাবে বিবেচনার আহ্বান জানায়। শিক্ষার্থীরা নির্দোষ দাবি করে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনাকারী এজেন্টরা তাদের ঠকিয়েছে।
বিক্রমজিৎ সিং সাহনি, হরসিমরাত কাউর বাদল, কুলদ্বীপ সিং ঢালিওয়ালসহ ভারতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি শিক্ষার্থীদের পক্ষে চিঠি চালাচালি করেছেন। কানাডার আইনপ্রণেতাদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্যও জোর চেষ্টা চালিয়েছে ভারত সরকার। কয়েকজন কানাডীয় এমপি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কথা বলেছেন।
কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী ফ্রেজার বলেছেন, আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে কোনো ধরণের জালিয়াতিতে জড়িত না থাকা শিক্ষার্থীদের কানাডা থেকে ফেরত পাঠানো হবে না। পরবর্তী পাঁচ বছরে কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আওতায় তাদের রাখা হবে না।
তিনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থী হয়ত সজ্ঞানে জালিয়াতি করেছে অথবা জালিয়াতির তথ্য গোপন করেছে। তাদেরকে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানো হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ইস্যু পৃথক ঘটনা হিসেবে তদন্ত করা হবে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।