লাইফস্টাইল ডেস্ক : ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কানাডা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে। দেশটির শ্রমবাজারে স্বাস্থ্য, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিখাতে প্রচণ্ড ঘাটতির কারণে আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা কানাডায় বৈধভাবে কাজ করতে পারেন।
Table of Contents
কাদের প্রয়োজন ওয়ার্ক ভিসা?
যেসব ব্যক্তি কানাডার নাগরিক নন বা স্থায়ী বাসিন্দা নন, কিন্তু সেখানে বৈধভাবে কাজ করতে চান—তাদের অবশ্যই বৈধ ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছেন অস্থায়ী বিদেশি শ্রমিক, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কর্মী এবং বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আসা কর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আবেদনকারীর জন্য কানাডিয়ান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নিশ্চিত চাকরির প্রস্তাব থাকতে হয়।
কানাডিয়ান ওয়ার্ক ভিসার জন্য প্রয়োজন যেসব যোগ্যতা
আবেদনকারীদের একটি বৈধ পাসপোর্ট, চাকরির লিখিত প্রস্তাবপত্র বা চুক্তিপত্র এবং সংশ্লিষ্ট পদের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার প্রমাণ জমা দিতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাকে একটি Labour Market Impact Assessment (LMIA) সংগ্রহ করতে হয়, যা প্রমাণ করে যে, সংশ্লিষ্ট পদে কোনো কানাডীয় নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে কিছু পেশা বা প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে LMIA ছাড়াই আবেদন করা যায়—বিশেষ করে আন্তর্জাতিক চুক্তি বা International Mobility Program-এর আওতায় এ সুবিধা পাওয়া যায়।
জুন ২০২৫-এর ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া
১. LMIA আবেদন: প্রথম ধাপে নিয়োগকর্তাকে প্রয়োজনে LMIA আবেদন করতে হয়।
২. আবেদন দাখিল: LMIA অনুমোদনের পর বিদেশি কর্মী অনলাইনে বা নিজ দেশে অবস্থিত কানাডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে আবেদন করতে পারেন।
৩. নথিপত্র প্রস্তুত: প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে—LMIA (যদি প্রযোজ্য হয়), নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র।
৪. চিকিৎসা ও নিরাপত্তা যাচাই: নির্দিষ্ট কিছু পেশার ক্ষেত্রে মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টও দিতে হয়।
৫. ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু: সবকিছু পর্যালোচনা শেষে আবেদন অনুমোদিত হলে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা হয়, যা বৈধভাবে কানাডায় প্রবেশ ও কাজ করার সুযোগ দেয়।
কানাডায় পৌঁছানোর পর শর্ত ও স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ
কানাডায় প্রবেশের পর ওয়ার্ক পারমিটধারীদের অবশ্যই নির্ধারিত নিয়োগকর্তা ও কর্মস্থলের শর্ত মেনে চলতে হয়। অনেক কর্মসূচির আওতায় পরবর্তীতে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ থাকে—যেমন Express Entry সিস্টেম বা Provincial Nominee Program (PNP)।
ভবিষ্যতে ইমিগ্রেশন সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে কর্মীদের উৎসাহিত করা হয় কানাডায় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।