জুমবাংলা ডেস্ক : ক্যাপসিকাম চাষে লাভবান কৃষক সাইদুর। ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ বিদেশী এই সবজি মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত। শহরের বড় বড় হোটেল, রেস্তোরায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকে বাড়ির ছাদে টবে এই মরিচের চাষ করে থাকে। মিষ্টি মরিচ বা ক্যাপসিকাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সাইদুর।
জানা যায়, কৃষক সাইদুর রহমান জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা। শখের বশে ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি শখের বশে ভৈরব থেকে ৪০ গ্রাম বীজ ১৮ হাজার টাকায় কিনে চাষাবাদ শুরু করেন। ইতোমধ্যে জমি থেকে তুলে ৪৩ হাজার টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। আশা করছেন ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষক সাইদুর বলেন, আমি অনলাইনে ক্যাপসিকাম চাষ দেখে পরিকল্পনা করি। তারপর ভৈরব থেকে ৪০ গ্রাম বীজ ১৮ হাজার টাকায় কিনে চাষাবাদ শুরু করি। গাছ লাগানোর ১ মাসের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। পরবর্তী ১ মাসের মাধ্যই ক্যাপসিকাম বিক্রির উপযুক্ত হয়। শহরের বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টে এর কদর বেশি। তাই আমার জমির উৎপাদিত ক্যাপসিকাম সিএনজি করে সিলেটে পাঠাই।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ক্যাপসিকাম বিক্রি শুরু করেছি। ১২০ টাকা কেজি দরে ৯ মণ ক্যাপসিকাম ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করি। এতে আশা করি প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবো।
একই গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া বলেন, বিদেশি এই সবজি চাষে সাইদুর লাভবান হয়েছে। এই সবজি এর আগে কেউ চাষ করেনি। সাইদুরের সফলতা দেখে অনেকেই ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলা উদ্দিন বলেন, এই অঞ্চলে সাইদুরই প্রথম ক্যাপসিকাম চাষ করেছে। ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে সাইদুর লাভবান হতে পেরেছে। আশা করছি তার সফলতা দেখে আগামীতে আরো অনেক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।