আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফাইবার গ্লাস দিয়ে স্পেনের রাজকুমারী মার্গারেট থেরেসার ভাস্কর্য তৈরি করেছেন ভেনেজুয়েলার শিল্পী আন্তোনিও আজ্জাতো। মার্গারেটের রূপে মুগ্ধ হয়ে অনেক শিল্পী নিজেই চিত্রকর্মে তাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে, আন্তোনিওয়ার শিল্পটি একেবারেই আলাদা। তাই, রাজধানী কারাকাসে এটি দেখতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ১৯টি প্রভাবশালী নারীর মুখহীন ভাস্কর্য এখন শোভা পাচ্ছে কারাকাসের রাস্তায়।
ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় স্পেনের রাজকুমারী মার্গারেট থেরেসার আদলে তৈরি চিত্রকর্ম ‘লাস মেনিনাস’কে ফুটিয়ে তুলেছেন ভেনিজুয়েলার শিল্পী আন্তোনিও আজ্জাতো। ‘লাস মেনিনাস’ মূলত এঁকেছিলেন স্পেনের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী দিয়েগো রোদ্রিগেস দে সিলবা।
শিল্পী আন্তোনিও আজ্জাতো বলেন, অনেক মানুষই স্পেনের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী দিয়েগো ভেলাজকুয়েজ সম্পর্কে জানেন না। এমনকি তার বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘লাস মেনিনাস’ সম্পর্কেও জানেন না। এখন ভেলাজকুয়েজ ও লাস মেনিনাস এর বিষয়ে জানতে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে।
শহরের রাস্তার পাশেই ফাইবার গ্লাস দিয়ে বিশ্বের ১৯টি প্রভাবশালী নারীর মুখহীন ভাস্কর্য তৈরি করেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের সাথে বিখ্যাত এই মানুষগুলোর সাথে নতুন করে পরিচয় করে দিয়েছে।
শিল্পী আজ্জাতো বলেন, বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলোকে রাস্তায় ফুটিয়ে তোলা উচিত যা পথচারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ানোর প্রতি আরো জোর দেয়া উচিত। কারণ আধুনিক প্রযুক্তির ফলে তারা অনেকটাই চিত্রকর্মের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
‘লাস মেনিনাস’ ১৬৫৬- স্পেনের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী দিয়েগো ভেলাজকুয়েজের বিখ্যাত একটি চিত্রকর্ম। এটি তিনি মাদ্রিদে বসেই এঁকেছিলেন। পর্তুগিজ ভাষায় তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, দুই নারী তার জন্য অপেক্ষায়।
কারাকাসের আলতামিরা স্কয়ার অনেক ব্যস্ত এলাকা। এখানে মানুষ শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য আসে। তাই এখানে চিত্রকর্মটাকে হাজির করায় সবাই উপভোগ করছে। ভেলাজকুয়েজের এই চিত্রকর্মটি বেশ জটিল প্রকৃতির। এটি দর্শনার্থীদের মধ্যে বাস্তবতা থেকে এক ধরনের বিভ্রমের সৃষ্টি করে।
৫০ বছর বয়সী শিল্পী আন্তোনিও আজ্জাতো দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রিদে বসবাস করছেন। আঁকছেন ছবি। সেখানকার জাতীয় যাদুঘরে বছরের পর ধরে প্রদর্শিত রয়েছে মার্গারেট থেরেসা আসল ছবিটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।