স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল মাঠে আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড যখন মুখোমুখি হয়, তখন খেলা থেকেও ফকল্যান্ড যুদ্ধ নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হয়। আর ঠিক এই যুদ্ধের কারণেই ইংল্যান্ডে ৭ বছর থাকলেও ইংরেজি ভাষা শেখেননি আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। খবর দ্য সানের।
তেভেজ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলেছেন। আর এ সময় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কেউ যদি তার সঙ্গে কথা বলতে চায়, তবে তাকে স্প্যানিশ ভাষাতেই কথা বলতে হবে।
১৯৮২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ ফকল্যান্ডের মালিকানা নিয়ে ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। সামরিক শক্তি বিচারে শক্তিশালী ব্রিটেনের কাছে সেই যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। আর এই যুদ্ধের পরই তেভেজের এক চাচা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মদের নেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এরপর থেকেই তার ইংরেজি সংস্কৃতির প্রতি অনীহা এসে পড়ে।
তেভেজ আরেক ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের হয়েও খেলেছিলেন। তবে ম্যানসিটির অধিনায়ক থাকাকালীনই তিনি একবার এক আর্জেন্টাইন টিভিকে বলেছিলেন ম্যানচেস্টারের সবই খুব খারাপ। আর এবার নিজ শহরের এক রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইংরেজির সঙ্গে তার সংস্কৃতিগত সমস্যা রয়েছে।
আর্জেন্টিনার হয়ে ৭৬ ম্যাচ খেলা তেভেজ বলেন, ‘আমি ইংরেজি শিখতে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম তারা স্প্যানিশ শিখুক। আমার একজন চাচা আছে, যিনি রিভার প্লেটে খেলেছেন। তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র রিভার সমর্থক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি রিভারের রিজার্ভ দলে খেলেছেন। তবে মূল দলে যখনই তার অভিষেক হবে, ঠিক তখনই ফকল্যান্ড যুদ্ধের জন্য তার ডাক পড়ে। এই যুদ্ধ তাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল এবং তিনি মদ্যপ হয়ে পড়েন। এটা আমার মনে অনেক বড় দাগ দেয়, কেননা আমি তার খুব কাছের ছিলাম।’
এদিকে ইংরেজি সংস্কৃতিকে অপছন্দ করেও ইংল্যান্ডের মাটিতে সাত বছর খেললেন কেন? এমন জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সাত বছর ইংল্যান্ডে খেলেছি ঠিকই, কিন্তু আমি কখনোই ইংরেজি সংস্কৃতিকে গ্রহণ করিনি। আমি সেখানে কাটিয়েছিলাম পেশাগত কারণে। খুব কম মানুষই ব্যাপারটা জানে। আজ আমি সবাইকে বললাম। আমি সেখানে বলেছি, আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে স্প্যানিশ ভাষা শিখে আসতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।