আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩৪ বছর আগে গোপনে শুক্রানু দিয়ে এক নারীকে অন্ত্বঃসত্ত্বা করার ঘটনায় এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী নিজেই ওই মামলাটি করেন। এমন ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো রাজ্যের বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী নারী শ্যারন হায়েস স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে চিকিৎসক ডেভিড আর ক্ল্যাফুলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, গর্ভধারণ না করতে পারায় তিনি অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে ১৯৮৯ সালে গিয়েছিলেন।
বুধবার স্পোকেন কাউন্টি আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়, হায়েস একজন অপরিচিত শুক্রাণু দাতা দিতে বলেছিলেন। তবে চিকিৎসক ক্ল্যাফুল তাঁকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। ওই চিকিৎসক হায়েসকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য যেমন চুল এবং চোখের রঙের ওপর ভিত্তি করে শুক্রাণু দাতা নির্ধারণ করা হবে এবং নির্বাচিত দাতাদের স্বাস্থ্য এবং জেনেটিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ক্ল্যাফুল ওই নারীকে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা করেছেন। প্রতিবারই তিনি ১০০ ডলার করে নিতেন। ওই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, শুক্রাণু দাতাদের জন্য এই অর্থ খরচ করা হবে।
কিন্তু বিপত্তি বাধে গত বছর। হায়েসের ৩৩ বছর বয়সী মেয়ে ব্রায়ান্না হায়েস যখন তাঁর বাবার খোঁজার জন্য ডিএনএ টেস্ট করান তখনই যানা জায় যে তিনি ওই চিকিৎসকের সন্তান।
ব্রায়ান্না আরও জানতে পারেন যে, শুধু তিনি নন আরও ১৬ জন রয়েছে যাদের ডিএনএর সঙ্গে ওই চিকিৎসকের ডিএনএর মিল রয়েছে। তবে ক্ল্যাফুলের বিরুদ্ধে আর কোনো নারী মামলা দায়ের করেছেন কি না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ নিয়ে এক বিবৃতিতে ব্রায়ান্না হায়েস বলেন, বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই পরিচয় সংকটের। বিষয়টি আমার কাছে গোপন ছিল।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ল্যাফুল। এক রোগীকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ৪০ বছরের কর্মজীবনে প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগ পেলাম।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।