সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নেওয়া, আওয়ামী ওলামালীগের সভাপতি পরিচয়ে নিয়োগ, মাদ্রাসার মার্কেটের ভাড়া ও জামানতের টাকা আত্নসাৎ, ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ মামলাটি করেন মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মান্নান। মামলা নং-সিআর-৭৫(মা.)/২০২৫। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরনীতে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জ ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে চাকরির আবেদনের সময় অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে নিজেকে সৌদি আরবের মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারাবিক ল্যাংগুয়েজ (ফরেন কোর্স), কালচারাল সেন্টার অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান থেকে সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্স অন পারসিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোর্সসহ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী বলে দাবি করেন। কিন্তু তিনি আজও কোনো সনদ দেখাতে পারেননি।
মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে অত্র মাদ্রাসার তিন তলা বিশিষ্ট মার্কেটের ভাড়া জামানতের টাকা বাবদ ছিয়াশি লক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা মাদ্রাসার ব্যংক একাউন্টে জমা না করে ভৌতিক ও বিনা ভাউচারে আত্মসাত করেছেন। অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় সোহরাব হোসেন নামে এক প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হওয়ার পরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। বরং তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েও নিয়োগ পান আতিকুর রহমান। নিয়োগ পেতে তিনি নিজেকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ওলামালীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেন।
মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি মানিকগঞ্জ-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও দলীয় লোক বিবেচনায় তাকে প্রাধান্য দেন। এরপর আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাদের আস্থা অর্জন করেন তিনিএবং তাদের সঙ্গে আতাত করে মাদ্রাসা ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন।
মামলার বাদী আব্দুল মান্নান জানান, অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান একজন জালজালিয়াতিবাজ ও প্রতারক। তিনি তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন। ফলে মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মাদ্রাসা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধ্যক্ষ ভদ্রলোকের আড়ালে জালিয়াতিবাজ, অর্থলোভী, অর্থ আত্নসাৎকারী ও দুর্নীতিবাজ লোক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আতিকুর রহমানের মোবাইলে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।