লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাতাসে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। চারদিকে শীতের আমেজ। ইতোমধ্যেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতের সবচেয়ে প্রিয় সবজি ফুলকপি। তরকারি কিংবা ভাজি অনেক ভাবেই এটি খাওয়া যায়। তবে পরিমাণে বেশি ফুলকপি খেলে গ্যাস ও হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
ফুলকপিতে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এছাড়াও ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম পাওয়া যায় এতে। একজন সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এসব পুষ্টিগুণ বেশ উপকারী। তবে সুস্বাদু হলেও কিছু রোগীর ফুলকপি খাওয়া একদমই উচিত নয়। গ্যাসট্রিকের সমস্যা থাকলে ফুলকপি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ভাপ দিয়ে খেলেও অনেক সময় গ্যস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে যায়। তাই ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। এছাড়াও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ফুলকপি খাওয়া ঠিক নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
ফুলকপির ক্ষতিকর দিক
শীতকালীন সবজি হিসেবে প্রায় সব মানুষই ফুলকপি পছন্দ করে। ফুলকপিতে রাফিনোজ নামক একটি পদার্থ রয়েছে যা এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। প্রাকৃতিকভাবেই এই কার্বোহাইড্রেট কিছু সবজিতে উপস্থিত থাকে। সমস্যা হলো এই কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীর ভাঙতে পারে না।
আপনি যখনই এই কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ সবজি গ্রহণ করবেন এরপর সেটি ছোট অন্ত্র থেকে বড় অন্ত্রে চলে যায়। যখন তারা বৃহৎ অন্ত্রে প্রবেশ করে, তখন সেখানে থাকা ব্যাকটেরিয়া এটিকে গাজনপ্রক্রিয়া শুরু করে। এর পরেই পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। ফলে পেট ফুলে যায়।
কাদের ফুলকপি খেলে সমস্যা হতে পারে?
১. থাইরয়েডের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য ফুলকপি ক্ষতিকর একটি সবজি। কারণ এতে টি-৩ এবং টি-৪ হরমোন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
২. ফুলকপিতে পটাসিয়াম বেশি থাকে। বেশি পরিমাণে খেলে রক্ত ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে। তাই যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করছেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফুলকপি খাওয়া উচিত।
৩. যে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান, তারা ফুলকপি এড়িয়ে চললে ভালো হয়।
৪. যাদের পিত্ত থলি বা কিডনিতে পাথর থাকে তাদের জন্য ফুলকপি ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এই সবজিটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়তে পারে।
এছাড়া কখনো কাঁচা ফুলকপি খাবেন না। কারণ কাঁচা ফুলকপিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। হজমের সমস্যায় ভুগলে সব সময় রান্না করা ফুলকপি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আবার ফুলকপি সিদ্ধ করলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকরা এই সবজিটি সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তথ্যসূত্র- এইসময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।