লাইফস্টাইল ডেস্ক : আজকাল রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, বিমানবন্দর বা শপিং মলে ওয়াই-ফাই সিস্টেম থাকে। অনেকে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেন। অনেক জায়গায় পাসওয়ার্ড ছাড়াই সংযুক্ত হওয়া যায় ইন্টারনেট। এমন ওয়াইফাইকে পাবলিক ওয়াইফাই বলা হয়। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করে সময় কাটাচ্ছেন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে গেম খেলছেন। অনেকে তো ফ্রি ওয়াই-ফাই পেয়ে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করে ফেলেন বেশ কিছু সিনেমা, ওয়েব সিরিজ।
ইন্টারনেট–জালিয়াতি, তথ্য চুরি, সাইবার ক্রাইম—এগুলো এখন আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাকেও হুমকিতে ফেলছে। তাই ইন্টারনেট ও সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতে গেলে কিছু কাজ করতে নিষেধ করেন। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে নিজের বিপদ ডেকে আনতে পারেন। সে ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নিন:
নিরাপত্তা
ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কগুলো অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ নয়। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনার ফোনের ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা ট্যাক্স ফাইল করা—এসব কাজ ফ্রি ওয়াই–ফাই দিয়ে করা মানে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনা। এছাড়াও, কার্ডের তথ্য, টিন নম্বর বা ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারের কাছে চলে যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ সাইটের পাসওয়ার্ড দেওয়া
ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দিতে হয়, এ রকম গুরুত্বপূর্ণ সাইটে না ঢোকাই ভালো পাবলিক ওয়াই–ফাই দিয়ে। এখানে হ্যাকারদের পাতা ফাঁদে এনক্রিপশনের আগেই এসব তথ্য লিক হতে পারে। ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই। ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে ডিভাইসে। ভাইরাসের আক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। শেষে হারাতে হবে শখের দামি ফোন বা ল্যাপটপটি। এভাবে আপনার ডেটা চুরি হতে পারে।
স্প্যাম ও বিজ্ঞাপন
ফ্রি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে স্প্যাম ও বিজ্ঞাপন আসার সম্ভাবনা বেশি। এতে আপনার ফোনের সব অ্যাপ ঠিকভাবে কাজ করবে না। বারবার হ্যাং হবে। এমনকি ফোন গরমও হয়ে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।