ফোনে কথা বললেই কল রেকর্ড ফাঁস, সেই ভয়ে ফোন ধরেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে নির্বাচনী সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি নিজেই এ কথা জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে ফোন ধরি না। অনেকে বলে সিইসি ফোনে কথা বলে না। সরাসরি এসে কথা বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা। দরকার হয় আপনারা লিখিত প্রস্তাব দেন, কিন্তু টেলিফোনে কথা বলি না।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই। সবাই যাতে দেখতে পারে সে ব্যবস্থা করতে চাই। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগতম জানাবো। দেশীয় পর্যবেক্ষক যতটা পারি বেশি নিবন্ধন দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, অতীতের মতো হবে না। আমরা পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা ফেরত আনছি। আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে সুন্দর নির্বাচন করতে পারবো।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পাশে চেয়ে সিইসি বলেন, মানুষকে নির্বাচনে আসতে বলেন। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করবো। আমাদের দরজা সব সময় খোলা। যেকোনো সময়ে আপনাদের সুপারিশ আমরা গ্রহণ করবো।
সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, চর্চার সম্পাদক সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।