জুমবাংলা ডেস্ক : ‘বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার, টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পালন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বন দিবস।
সোমবার (২১ মার্চ) চবির বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এ দিবস উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় ইনস্টিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক র্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে র্যালি প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বন পরিবেশের পরম বন্ধু। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। বাড়ির আশপাশে এবং পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কোনো প্রয়োজনে একটি গাছ কাটতে হলে তিনটি চারা রোপণ করতে হবে। সবুজ-সমৃদ্ধ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে।
দুপুর ১২টায় বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবনে আয়োজন করা হয় পোস্টার প্রদর্শনী। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক পোস্টার প্রদর্শিত হয়। পরে পোস্টারগুলো থেকে সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়।
দুপুর আড়াইটায় বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. জারিন আখতারের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাস। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান। এ ছাড়া সেমিনারে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেমিনারে অংশ নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।