জুমবাংলা ডেস্ক : চীনা অ্যাপ ই-মুভি প্ল্যানের মাধ্যমে দেশ থেকে কয়েকশ কোটি টাকা লুটে নেওয়া আজমল হুদা মানিককে (৩৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি অ্যাপটির পক্ষে রাজশাহীর এজেন্ট ছিলেন। মানিকের সঙ্গে তার অন্যতম সহযোগী সিয়াম আলীকেও (৩০) রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এক আদেশে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠান।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার পর অভিযোগ আনা এ দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো তারা আজ নিম্ন আদালতে হাজির হন। এরপর তাদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম আরও বলেন, রাজশাহীর পবা থানার নতুনপাড়ার বাসিন্দা জুয়েল রানা টিটু (২৭) এ মামলার বাদী। এনামুল হক (৪২) নামের আরেক আসামি একই মামলায় জামিনে রয়েছেন।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ই-মুভি প্ল্যান অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোরে চীন থেকে অবমুক্ত করা হয়। সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ওই অ্যাপে একটি হিসাব খুলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দিলেই তা ব্যবহারকারী মার্কিন ডলার হিসাবে দেখতে পেতেন। আর সেই প্রদর্শিত ডলার দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিনেমার টিকিট কিনতে হতো। টিকিট কিনলেই তার লভ্যাংশ জমা হতো অ্যাকাউন্টে। তাই এভাবে টিকিট কিনতে কিনতে বিনিয়োগের মূল টাকা উঠে যেত এক মাসেই। আর একসঙ্গে ৩ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে এক মাসে লাভ দেখানো হতো ৩৬০ গুণের বেশি। তা দেখে বাদীসহ অনেকেই এতে বিনিয়োগ করেন।
তবে ১২ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই ই-মুভি প্ল্যান অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায়। এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কয়েকজন চীনা নাগরিক। গত ৭ জানুয়ারি তারা ঢাকায় এসেছিলেন। আর দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ই-মুভি প্ল্যানের এজেন্ট ছিল। রাজশাহীর এজেন্ট আজমল হুদা মানিক রাজশাহী নগরের শিরোইল কলোনির সাড়ে ৩ নম্বর গলির এক ভাড়া বাড়িতে অফিসও খুলেছিলেন।
তবে অ্যাপটি বন্ধের পর তিনি ওই অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যান। যদিও প্রতারিত গ্রাহকরা নওগাঁর মান্দায় মানিকের গ্রামের বাড়ি গিয়ে তাকে খুঁজে বের করেন। এই ঘটনায় প্রতারিত গ্রাহক জুয়েল রানা টিটু বাদী হয়ে আজমল হুদা মানিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকা থেকেই তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।