আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ড্রোন ম্যানিয়াতে আক্রান্ত বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো। কে কতো ভালো আর দক্ষ ড্রোন বানাতে পারে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সামরিক শক্তির দেশগুলো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ড্রোন ব্যবহারের নতুন দিগন্তও খুলে দিয়েছে।
মানুষহীন উড়োযান নিয়ে শুরু থেকেই আমেরিকার নেতৃত্ব দিলেও এই প্রযুক্তিতে তলে তলে হাত পাকিয়েছে বহু দেশ। রাশিয়া তো আছেই, ইরান-তুরস্কের মতোও দেশও যুদ্ধ ও গোয়েন্দা নজরে দক্ষ সব ড্রোন তৈরিতে কারিশমা দেখিয়ে যাচ্ছে। এবার দৃশ্যপটে হাজির চীন।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ চীন যখন কোন কিছুতে হাত দেয়, তখন চেষ্টা করে সবাইকে ছাপিয়ে যেতে। এবার চীন এমন ড্রোন বানালো, যা নিয়ে হৃদকম্পন বেড়ে গেছে পেন্টাগনের। কারণ এই ড্রোন বর্তমানে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে। কি গতি কি পারফর্মেন্স, সব কিছুতেই এগিয়ে সেটি।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন এমন এক ড্রোন বানিয়েছে, যা উঁচু পার্বত্য এলাকায় অনায়াসে উড়ে বেড়াতে সক্ষম। এই ড্রোন শব্দের চেয়েও তিনগুণ বেশি দ্রুত উড়ে যেতে সক্ষম। এই খবরে চক্ষু চড়কগাছ ওয়াশিংটনের।
চীনের সামরিক অগ্রগতি নিয়ে ‘ন্যাশনাল জিয়োস্পেশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’-এর গোপন নথি ফাঁস হওয়াতেই আমেরিকা জানতে পারলো এই ড্রোনের কথা। সেই সঙ্গে খবর তাইওয়ানের কাছে পৌঁছে গেছে এই খবর। যা নিঃসন্দেহে দেশটির নীতি নির্ধারকদের ঘুম হারাম করেছে।
গত ৯ আগস্টের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, সাংহাই থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব চীনের এক বিমান ঘাঁটিতে দুটি রকেট প্রপেল্ড ড্রোন ধরা পড়েছে। এতেই আমেরিকা ধরেই নিয়েছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তার প্রথম মানুষ ছাড়াই আকাশপথ নজরদারি ব্যবস্থা করে ফেলেছে।
সবচেয়ে যে জিনিসটি আমেরিকাকে ভাবাচ্ছে, সেটি হচ্ছে এই ড্রোনের সাহায্য চীন খুব সহজেই তাইওয়ানের সামরিক স্থাপনার ওপর নজর রাখতে পারছে। বর্তমান আবহে এটি ওয়াশিংটনের জন্য মাথা ব্যথার বড় কারণ। চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ডের আওতায় রেখেছে এসব ড্রোন।
ইস্টার্ন থিয়েটার কম্যান্ড বর্তমানে তাইওয়ানকে সামাল দেয়ার দায়িত্ব আছে। তাইওয়ানের সবচেয়ে কাছের পিপলস আর্মির ছাউনিতে এই ধরনের বিপুল শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক ড্রোন-বাহিনীর উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই তাইওয়ানের হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি করার পক্ষে যথেষ্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।