জুমবাংলা ডেস্ক : বিদ্যমান এমপিও নীতিমালার কারণে নানা স্তরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা। এ নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে আসছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। তাদের এ দাবির মুখে এমপিও নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল রোববার আলোচনায় বসে মন্ত্রণালয়। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভার বিষয়ে জানতে চেয়ে অতিরিক্ত সচিব আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে সভায় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রণীত এমপিও নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আরও কয়েকটি সভার আয়োজন করতে হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে শিক্ষকদের মধ্যে তিন ধরনের এমপিও নীতিমালা চালু রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রণীত স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রণীত মাদ্রাসার ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালায় বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা আছে। এর ফলে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে বিভিন্ন সময় শিক্ষকরা রাস্তায় নেমেছেন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।
তাই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রণীত এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগেও একাধিকবার সভায় বসেছিল মন্ত্রণালয়। তবে এবারই প্রথম সভায় ছিল সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।