বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এখন চ্যাটজিপিটি। চাকরি, পড়াশোনা, ব্যবসা বা সাধারণ জ্ঞান– প্রতিনিয়ত কোটি কোটি মানুষ বহুমাত্রিক কাজে ব্যবহার করছেন এআই চ্যাটবট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যতটুকু সহায়ক হতে পারে, ততটাই ঝুঁকির কারণ। সচেতন না হলে বিপদ এড়ানো কঠিন।

বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, অনেক তথ্য চ্যাটজিপিটি বা অন্য কোনো এআই চ্যাটবটকে কখনোই বলা উচিত নয়। কারণ, এসব তথ্য ভুল হাতে পড়লে ব্যক্তিগত ক্ষতি তো হবেই; হতে পারে আইনি জটিলতাও।
তথ্য প্রকাশ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবটে এআইকে এমন কিছু বলা যাবে না, যা নিজের অতি গোপন তথ্য। কারণ, গ্রাহকের ডেটা লগ আকারে সংরক্ষিত হতে পারে। আর অজান্তেই তা ছড়িয়ে পড়তে পারে ইন্টারনেটের অবাধ ডার্কসাইটে।
ব্যক্তিগত তথ্য
নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ইমেইল অ্যাড্রেসের মতো স্পর্শকাতর তথ্য চ্যাটজিপিটির কাছে কখনও শেয়ার করা
যাবে না। এসব তথ্য ব্যবহার করে যে কারও সব ধরনের কার্যক্রম ট্র্যাক করা বা পরিচয় বেহাত করা কঠিন হবে না।
ছবির উন্মাদনা
হাল সময়ে এআই প্রম্পট দিয়ে ছবি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ার তা প্রকাশ করার ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে জেমিনি ও অন্যসব চ্যাটবটে নিজের ব্যক্তিগত ও ঘনিষ্ঠ ছবি দিয়ে বসছেন।
এটি কোনোভাবেই সমুচিত নয়। কারণ, এ থেকে ক্ষতিকর ছবি তৈরি হতে পারে। আর তা ছড়িয়ে পড়তে যে কোনো সামাজিক মাধ্যমে।
আর্থিক তথ্য
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, কার্ড পিন– এসব তথ্য কখনও এআই চ্যাটবটে না দেওয়াই উত্তম। সামান্য ভুলে বেহাত হতে পারে নিজের ডিজিটাল নিরাপত্তা।
পাসওয়ার্ড দেওয়া
নিজের পাসওয়ার্ড কখনও কারও কাছে বলা উচিত নয়, এমনকি চ্যাটজিপিটির কাছেও নয়। এআই যে কারও ডেটা সুরক্ষিত রাখার পুরোপুরি নিশ্চয়তা দেয় না। ফলে ঘটতে পারে অ্যাকাউন্ট হ্যাকের মতো ঘটনা।
গোপন কথা
অনেক সময় এআই চ্যাটবটকে নিজের বন্ধুর মতো ভুল করে বসেন অনেকে। কিন্তু এটি আদতে প্রোগ্রামড টুল। তাই ব্যক্তিগত গোপন কথা জানালে তা কোথায় ব্যবহার হবে, নিজেও জানতে পারবেন না।
স্বাস্থ্য পরামর্শ
বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে, এআই কোনো ডাক্তার নয়। স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শই শ্রেয়। চ্যাটজিপিটি ভুল তথ্য দিতে পারে, যা হতে পারে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণ।
কনটেন্টে সতর্ক
চ্যাটবটে অশ্লীল, সহিংস বা অনুপযুক্ত কনটেন্ট দিলে ব্যান হতে পারে যে কারও অ্যাকাউন্ট। সেই ডেটা ছড়িয়ে যেতে পারে ইন্টারনেটে।
সতর্ক থাকা জরুরি
চ্যাটজিপিটির মতো অন্যসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুল মানবজীবনকে সহজ করছে ঠিকই; আবার ঝুঁকিও বাড়িয়েছে অনেকাংশে। অসতর্ক ব্যবহারে ও অতিরিক্ত নির্ভরতা ব্যক্তির গোপনীয়তা, আর্থিক ঝুঁকি, এমনকি হতে পারে আইনগত ঝামেলার কারণ। তাই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে চলতে হবে সাবধানে, ভেবেচিন্তে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



