কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি বর্তমানে অনেকেই দৈনন্দিন ও কর্মক্ষেত্রের কাজে ব্যবহার করছেন। তবে অতিরিক্ত নির্ভরতা কখনো কখনো গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি এক তরুণী চ্যাটজিপিটির দেওয়া ভুল তথ্য ব্যবহার করে বিপাকে পড়েছেন। এখন তিনি চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিকা একটি প্রতিষ্ঠানে বিপণন ও গ্রাহক জরিপের কাজ করেন। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ এক উপস্থাপনায় তিনি সরাসরি চ্যাটজিপিটি থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করেন।
সেখানে গুরুতর ভুল ধরা পড়ায় তাঁর চাকরি এখন ঝুঁকির মুখে। পরিস্থিতি সামলাতে ওই ব্যক্তি রেডিট ব্যবহারকারীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন—“আমরা কীভাবে ওর চাকরি বাঁচাতে পারি?”
রেডিট পোস্টে আরও বলা হয়, তরুণীটি প্রথমে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে গ্রাহক জরিপের প্রশ্নমালা তৈরি করেন। পরে জরিপের উত্তর বিশ্লেষণেও এআই টুলের সহায়তা নেন।
এক্সেল ফাইলে তথ্য আপলোড করে চ্যাটজিপিটি থেকে তৈরি আউটপুট সংগ্রহ করেন এবং তা প্রতিবেদনে উপস্থাপন করেন। সমস্যা দেখা দেয় উপস্থাপনার সময়, যখন তিনি পিয়ারসনের কোরিলেশন কোএফিশিয়েন্ট ব্যবহার করে তৈরি ফলাফল দেখান।
কিন্তু জরিপের উত্তর ছিল পুরোপুরি টেক্সটভিত্তিক, যা কেবল পাঁচ ধরনের ‘ফিলিং’-এ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল। এ ধরনের তথ্য পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের জন্য উপযুক্ত নয়।
চ্যাটজিপিটি তথ্যগুলোকে সংখ্যায় রূপ দিতে চেষ্টা করলেও প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা বা হিসাবের খুঁটিনাটি স্পষ্টভাবে দিতে পারেনি। ফলে ক্রেতাদের সামনে প্রদর্শিত ফলাফল হয়ে ওঠে ত্রুটিপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
চ্যাটজিপিটির ভুলে সমস্যায় পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে স্পেনের এক তরুণী মেরি ক্যালডাসও চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মানতে গিয়ে সঙ্গীসহ বিমানে উঠতে ব্যর্থ হন।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, চ্যাটজিপিটি বা এ ধরনের এআই টুল খসড়া তৈরি বা প্রাথমিক ধারণা দিতে কার্যকর হলেও সরাসরি ব্যবহার করলে ভুল বা মনগড়া তথ্য চলে আসতে পারে। যাচাই–বাছাই ছাড়া এসব ফলাফল অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার বা ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সূত্র: নিউজ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।