‘চ্যাটজিপিটি, আমার ক্লাবকে বিদায় জানাও।’ এমন হাস্যরসে মজেছেন নেটিজেনরা। বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই প্রযুক্তি অনেকের জীবনকে সহজ করছে, আবার মাঝেমধ্যে ঝামেলাও তৈরি করছে।
কখনো কখনো হাস্যকর ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। তেমনই এক মজার ঘটনার জন্ম দিয়েছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ফাবিও সিলভা ও নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ক্রিস্টান্টাস উচে।
সম্প্রতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলে উলভারহ্যাম্পটন থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়েছেন সিলভা। আর উচে স্পেনের গেতাফে থেকে ধারে ইংলিশ ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেসে নাম লিখিয়েছেন।
দুজনই বিদায়ি বার্তা লেখার জন্য আশ্রয় নেন জনপ্রিয় এআই চ্যাটজিপিটির। এরপর সেটিই পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এতেই ধরা পড়ে যান সিলভা ও উচে। কারণ দুজনের বিদায়ি বার্তায় ছিল হুবহু মিল— শব্দচয়ন থেকে আবেগের প্রকাশ, এমনকি যতিচিহ্ন পর্যন্ত এক! কেবল আলাদা ছিল ক্লাবের নাম।
ফুটবলপ্রেমীরা বিষয়টি খেয়াল করে পোস্ট দুটি পাশাপাশি জুড়ে শেয়ার দিতে শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় হাসাহাসি। একজন লিখেছেন, ‘দুই খেলোয়াড়, এক আবেগ।’
অনেকে আবার সমালোচনাও করেছেন। তাদের মতে, পুরোনো ক্লাবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ব্যক্তিগত কিছু যোগ করা উচিত ছিল।
শুধু এআই– এর লেখা পোস্ট করায় খেলোয়াড়দের আন্তরিকতার অভাব ফুটে উঠেছে।
গত ২৯ আগস্ট উলভারহ্যাম্পটন ছাড়ার পর ইনস্টাগ্রামে সিলভা লিখেছিলেন তার উলভসে আসা, উচ্চাশা আর স্বপ্ন নিয়ে। এই পোস্টের পাঁচ দিন পর উচে গেতাফে থেকে ধারে ক্রিস্টাল প্যালেসে যোগ দিয়ে হুবহু একই পোস্ট করেন। তবে একটি বিষয় দুইজনের পোস্টে আলাদা ছিল—তা হচ্ছে ক্লাবের নাম!
প্রশ্ন উঠছে, দুজনের মাতৃভাষা আলাদা, কখনো একসঙ্গে খেলেনওনি, তবু বার্তা এক হলো কীভাবে? ধারণা করা হচ্ছে, দুজনই চ্যাটজিপিটিকে একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন—‘আমার ক্লাবকে বিদায় বলো।’ এআই এরপর খেলোয়াড়ের ক্লাবের নাম বসিয়ে বাকিটা একই রকম বানিয়ে দিয়েছে।
এখনও নতুন ক্লাবের জার্সিতে অভিষেক হয়নি কারোরই। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ক্লাব ফুটবল মাঠে ফেরার পর দেখা যাবে, মাঠের খেলায়ও কি তারা কপি-পেস্ট করেন কিনা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।