ওপেনএআই উদ্ভাবিত চ্যাটজিপিটির প্রতিযোগী হয়ে উঠছে পারপ্লেক্সিটি, যা বিভ্রান্তি নামক আরেকটি কৃত্রিম মেধা। ইতোমধ্যে দুটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোনটি বেছে নিলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সারাবিশ্বেই প্রতিযোগিতা যেন দৃশ্যমান। অনেকের কাছে এখনও পছন্দের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তি হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
কিন্তু ক্রমান্বয়ে একে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করছে পারপ্লেক্সিটি। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটির তুলনায় অনেক বেশি দুরন্ত। দ্রুত যে কোনো তথ্য আগ্রহীর কাছে পৌঁছে দিতে পারদর্শী।
ফলে প্রশ্ন রয়েছে, ব্যবহারে কোনটা বেশি উপযোগী। অবশ্য দুটি এআইভিত্তিক টুলের মধ্যে আপাতত কয়েকটি দৃশ্যমান পার্থক্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহককে বিবেচনা করে পছন্দের কৃত্রিম মেধা বেছে নিতে হবে।
এআই বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজ ও প্রয়োজনের ধরন বুঝে গ্রাহককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সে কোনটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জিপিটিকে গল্প শোনাতে বললে সে তা সময় নিয়ে ঠিকই শুনিয়ে দেবে। আবার আগ্রহ প্রকাশ করলে গল্পকে চলচ্চিত্রের মতো করে গ্রাহকের কাছে তুলে ধরার সক্ষমতা রয়েছে জিপিটির।
শুধু যে গল্প তা কিন্তু নয়; উপন্যাস, কবিতা বা মজার কোনো ঘটনার কথা উল্লেখ করে সহজে আনন্দ দিতে পারে এই এআই টুল। ওপেনএআই উদ্ভাবিত জিপিটি তাৎক্ষণিক ঘটে যাওয়া ঘটনার সূক্ষ্ম অনেক তথ্য এড়িয়ে যায়।
এর আগে বিতর্কিত অনেক তথ্যবিভ্রাটের কারণে জিপিটি আগের তুলনায় অনেক বিবেচনা করে তবেই নির্বাচিত তথ্য প্রকাশ করে। বিপরীতে আলোচিত যে কোনো তথ্য জিজ্ঞাসা করলে ইউটিউব, গুগল বা এক্স হ্যান্ডেলে (আগে ছিল টুইটার) খোঁজ করে দ্রুত সে সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করে পারপ্লেক্সিটি।
কিন্তু এই এআই টুলটি সাহিত্যের বিষয়ে তেমন পারদর্শী নয়। ফলে পারপ্লেক্সিটির কাছে বিশ্বের সেরা প্রেমের কবিতার নাম জানা যাবে। কিন্তু সেই কবিতা শুনতে হলে আবার বাধ্য হয়েই জিপিটির দ্বারস্থ হতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছুদিন হলো জিপিটি একচেটিয়া মনোভাব থেকে বেরিয়ে নতুন করে তথ্য বিন্যাস করছে। মূলত পারপ্লেক্সিটি শুরু থেকেই জিপিটিকে চ্যালেঞ্জ করার কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।