Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home পানির অভাবে নদীর তলদেশ-ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির
    জাতীয় বিভাগীয় সংবাদ

    পানির অভাবে নদীর তলদেশ-ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির

    Saiful IslamMay 14, 20245 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত দেশের বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পাম্প গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প বন্ধ থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চাল জেলার প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমি ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পানির অভাবে ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এতে চাষিরা যেমন দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তেমনি এই এলাকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের সম্মুখীন। জিকে খালে পানি না থাকায় কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখেরও অধিক টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির অভাবে মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

    River

    এদিকে, জিকের প্রধান খালে পানি না থাকায় ভেড়ামারার ৩নং ব্রিজ সংলগ্ন খালসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়রা ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৬২ সালে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা নদী থেকে ইনটেক চ্যানেলে পানি এনে পাম্প করে খালের মাধ্যমে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের চার জেলার ১৩টি উপজেলার জমিতে পানি সরবরাহ শুরু হয়।

    শুরুতে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর) দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হতো। বাকি দুই মাস চলত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ। ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের পানি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কৃষকরা পেতেন।

    শুরুতে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলার ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। নব্বইয়ের দশকে ১ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়। বিঘাপ্রতি মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে কৃষকরা সেচ প্রকল্পের (জিকে) পানি পেতেন।

    সেচ প্রকল্পের (জিকে) মাধ্যমে পানি না পাওয়ায় বর্তমানে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সেচ বাবদ প্রতি বিঘায় খরচ পড়ছে প্রায় ৭ হাজার টাকা। স্বল্প খরচের সেচব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ৩৫ গুণ বেশি খরচ করে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন কৃষকরা। কতদিন পর আবার সেচ প্রকল্পের পানি পাবেন তার কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় শুরুতে তিনটি প্রধান পাম্প ও ১২টি সাবসিডিয়ারি পাম্পের সাহায্যে খালে পানি দেওয়া হতো। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সচল পাম্পটিও ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট নষ্ট হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। তাতে কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গাসহ এই চার উপজেলার কৃষকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পানির অভাবে অনেক কৃষক ধান লাগাতে পারেননি। কারও কারও ধানের জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে বিকল্প সেচের ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু তাতেও আশানুরূপ সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না।

    সেচ প্রকল্পের দুটি মেশিন আগে থেকে নষ্ট থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ১টি পাম্প দিয়ে প্রকল্পের আওতায় সর্বোচ্চ ৯৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু শেষ পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় এবার সেই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। তবে গত এপ্রিল মাসে ১নং পাম্পটি জাপানের ইবারা কর্পোরেশনের প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় কারিগরি ত্রুটি মুক্ত করে সচল করা হলেও পদ্মা নদীতে পানি স্বল্পতার কারণে পাম্প চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    সেচ প্রকল্পের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পাম্প চালুর জন্য সেচ প্রকল্পের ইনটেক চ্যানেলে কমপক্ষে ১৪ ফুট উচ্চতায় পানি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় ইনটেক চ্যানেলে পানির স্তর এখন মাত্র ১১ ফুট। ফলে পাম্প চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

    গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) কৃষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন বলেন, এ বছর আমরা এখনো পানি পাইনি। এই মৌসুমে পানি পাওয়া যাবে না এমন খবর পেয়েছি। আমরা এখন শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে ধান রোপণ করছি। এভাবে এক বিঘা জমি চাষ করতে প্রায় ৭ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে। এতে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ব্যয় অনেক বাড়বে। বাড়তি খরচের আশঙ্কায় অনেক কৃষক ধানচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

    কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালে পানি থাকলে সেচের পাশাপাশি আশপাশের নলকূপ ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। সেচ খালে পানি না থাকায় নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বোরো ধানে সবচেয়ে বেশি সেচ দিতে হয়। ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে দানা আসা পর্যন্ত সেচ লাগে। কখনো দিনে দুইবারও সেচ দিতে হয়।

    ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা বলেন, সেচ প্রকল্পের পাম্প বন্ধ হওয়ার কারণে বোরো চাষে কৃষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। পানির কারণে এবার ফলন কম হবে। ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে ধান রোপণে কৃষকের ব্যয় বাড়বে। কুষ্টিয়া অঞ্চলে ৫৪৬ হেক্টর জমি পানির অভাবে চাষ হচ্ছে না। এতে কুষ্টিয়া অঞ্চলেই প্রায় ২৫শ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।

    কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেন, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পানি সংকট নিয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলেছি। সেচ প্রকল্পের জন্য ১২শ কোটি ও জিকে প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ১২শ কোটি মোট ২৪শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এ প্রকল্প একনেকে পাশ হবে বলে আশাবাদী। কুষ্টিয়া জেলায় সুপেয় পানির জন্য ২শ ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে আর পানির সমস্যা থাকবে না।

    ভেড়ামারায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, দুটি পাম্প আগে থেকেই নষ্ট ছিল। ৩য় পাম্পটি দিয়ে ৩১ জানুয়ারি ক্যানেলে পানি সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই পাম্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর জাপানের ইবারা কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি পাম্পটি সচল করা হয়েছে কিন্তু ইনটেক চ্যানেলে স্বাভাবিক পানির স্তর না থাকায় সেচ কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। সেচের জন্য পদ্মায় পানি বৃদ্ধির অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

    কুষ্টিয়ার পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, চার জেলার ১৩টি উপজেলায় জিকের সেচ কার্যক্রম বিস্তৃত। পানি সমস্যা সমাধানে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। এ সমস্যা হয়তো বেশিদিন থাকবে না।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় অভাবে চৌচির তলদেশ-ফসলের নদীর পানির ফেটে বিভাগীয় মাঠ সংবাদ
    Related Posts
    রক্ত দিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে

    রক্ত দিতে সকাল থেকেই বার্ন ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল

    July 22, 2025
    চিকিৎসকের পরামর্শে আহত

    চিকিৎসকের পরামর্শে আহত শিশুদের সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: শ্রম উপদেষ্টা

    July 22, 2025
    শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে

    শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা

    July 22, 2025
    সর্বশেষ খবর
    চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর ১০+ কার্যকরী উপায়

    চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর ১০+ কার্যকরী উপায়

    মরদেহের কিছু অংশ

    মরদেহের কিছু অংশ পাওয়া গেলে কি জানাজা পড়তে হবে?

    রক্ত দিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে

    রক্ত দিতে সকাল থেকেই বার্ন ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল

    চিকিৎসকের পরামর্শে আহত

    চিকিৎসকের পরামর্শে আহত শিশুদের সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: শ্রম উপদেষ্টা

    রাত জাগার ক্ষতি ও প্রতিকার

    রাত জাগার ক্ষতি ও প্রতিকার: কেন জানা জরুরি – আপনার স্বাস্থ্যের রক্ষাকবচ

    গায়িকা পারশা মাহজাবীন পূর্ণি

    ‘রিকশাওয়ালা ৩০ টাকার ভাড়া চেয়ে বসলো ১০০ টাকা’

    শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে

    শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টা

    মনঃশক্তি বাড়ানোর প্রাকটিস

    মনঃশক্তি বাড়ানোর প্রাকটিস: দৈনন্দিন জীবনে শুরু করার সহজ ৭টি উপায়

    মুসলিম নারীদের হজ প্রস্তুতি

    মুসলিম নারীদের হজ প্রস্তুতি: আধ্যাত্মিক সফলতার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

    বিমানের প্রশিক্ষণ কোথায় হবে

    বিমানের প্রশিক্ষণ কোথায় হবে নতুন করে দেখা প্রয়োজন: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.