বিনোদন ডেস্ক : অনেক বেশি আদুরে এক কুকুর মিম। চিজ বার্গার প্রিয় খাবার বলে তার নাম ‘চিমস’। সে নজর কেড়েছে গোটা বিশ্ববাসীর। তার নিষ্পাপ হাসিমুখ, ভঙ্গি, চোখের ইশারা দিয়ে মানুষকে বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়েছে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন আর এই কুকুরের ছবি কোথাও দেখেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে ওঠে ‘চিমস’ ওরফে ‘বলটজ’।
জানা যায়, এই কুকুরের আসল নাম বলটজ হলেও চিজ বার্গার প্রিয় খাবার বলে তার নাম হয়ে উঠে ‘চিমস’।
‘চিমস’ যখন মিম আইকন হিসেবে সবাইকে আনন্দ-হাসিতে মাতিয়ে রাখতে ব্যস্ত, তখনই তার শরীরে বাসা বাধে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার। বিশ্ববাসী যখন ‘চিমস’কে নিয়ে মস্তিতে মেতে আছে, ঠিক সে সময় ক্যানসারের কাছে হার মানলো সবার প্রিয় ১২ বছর বয়সি শিবা ইনু জাতের এই কুকুরটি।
ইনস্টাগ্রামে ‘চিমস’-এর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে কুকুকটির মালিক জানান, ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেও শেষ পর্যন্ত লাভ হয়নি। অস্ত্রোপচারের সময়ই ‘চিমস’ অচেতন হয়ে পড়ে। পরে আর সে জেগে ওঠেনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, চিমসের কেমোথেরাপি হওয়ার কথা ছিল। অন্যান্য সম্ভাব্য উপায়েও চিকিৎসা চালিয়ে তাকে সুস্থ করতে মরিয়া ছিলেন সবাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছে ‘চিমস’।
১২ বছর বয়সি বলটজের মালিক হংকংয়ের নাগরিক ক্যাথি। তিনি চিমস অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ দুঃখিত হবেন না। মনে করুন বলটজ এই দুনিয়াকে কতটা আনন্দ দিয়েছিল। একটি শিবা ইনুর হাসিমুখ আপনাদের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করেছিল। করোনার সময়ে কত মানুষকে সে সাহায্য করেছিল। আপনাদের অনেককেই সে আনন্দ দিয়েছে। কিন্ত এখন ওর লক্ষ্য পূরণ হয়ে গিয়েছে।’
পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন, ‘এখন বলটজ আকাশে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানেও নিশ্চয়ই ভালো ভালো খাবারও খাচ্ছে।’ কুকুরটির মালিক জানার, চিমসের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু অর্থ তোলা হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই অর্থের অধিকাংশই থেকে গেছে। চিমসের মালিক জানিয়েছেন, তিনি সেই অর্থ স্থানীয় পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে দান করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।