আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার পর শুক্রবার দীর্ঘকালীন প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী। অম্বানী-পুত্রের বিয়ের মেনুও ছিল নজরকাড়া। ডেসার্টে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি মাছের ডিমও।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অম্বানী-পুত্রের বিয়েতে অতিথিদের শেষ পাতে দেওয়া হয়েছিল তিরামিসু নামে একটি বিশেষ ডেসার্ট। তিরামিসু সাজানো ছিল কালো, গোলাকৃতি দানার মতো জিনিস দিয়ে।
অম্বানীদের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, তিরামিসুর উপরে থাকা সেই দানাগুলো আসলে মাছের ডিম। বিশ্বের সবচেয়ে দামি মাছের ডিম সেগুলো। এই মাছের ডিমগুলো ক্যাভিয়ার নামে পরিচিত।
নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের পেট থেকে ক্যাভিয়ার পাওয়া যায়। তবে স্টারজিওন মাছের ডিমের স্বাদই নাকি সবচেয়ে ভালো। এই ডিম বিরল হওয়ায় এর দামও বেশি।
স্টারজিওন মাছের ডিম নানাভাবে সংরক্ষণ করা হয়। গুণমান, স্বাদ এবং পরিমাণের ওপর নির্ভর করে ক্যাভিয়ারের দাম নির্ধারণ করা হয়।
ক্যাভিয়ারের দাম কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। শোনা যায়, মাত্র ৫৬ গ্রাম ক্যাভিয়ারের মূল্য ৬০ হাজার টাকার কাছাকাছি। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য অম্বানী পুত্রের বিয়ের মেনুতে ডেসার্টের উপর ক্যাভিয়ার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বহু শতাব্দী ধরে প্রাচীন পারস্যে (বর্তমান ইরান) ক্যাভিয়ার খাওয়ার প্রচলন ছিল। ধীরে ধীরে পশ্চিমি দেশগুলোতে ক্যাভিয়ার খাওয়ার চল শুরু হয়। বর্তমানে ক্যাভিয়ার তেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া না যাওয়ায় তা বিরল হয়ে গিয়েছে। হাতেগোনা বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় ক্যাভিয়ার পরিবেশন করা হয়।
ছোট আকারের কৌটোয় ক্যাভিয়ার ভরে বিক্রি করা হয়। এর স্বাদ সাধারণত নোনতা। ক্যাভিয়ারের মান অনুযায়ী তার স্বাদেরও বদল হয়। কোনো ক্যাভিয়ার খেতে বাদামের মতো। কোনো ক্যাভিয়ারের স্বাদ আবার মাখনের মতো।
কোনো খাবারের উপর ড্রেসিং করতে সাধারণত ক্যাভিয়ার ব্যবহৃত হয়। সুরাপানের সময়েও অনেকে ক্যাভিয়ার খেয়ে থাকেন। দামি ভদকা এবং শ্যাম্পেনের সঙ্গে ক্যাভিয়ার খেলে মদ্যপানের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।