বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেনের ক্ষেত্রে চেক একটি বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম। তবে নানা কারণে চেক বাউন্স বা অনাদায়ী হলে অনেক সময় মামলা পর্যন্ত গড়ায়। এ ধরনের মামলায় জয়ী হতে গেলে শুধু অভিযোগ করাই যথেষ্ট নয়; বরং কিছু আইনি পদক্ষেপ ও প্রমাণ থাকা জরুরি।
চেকের মামলায় জয়ী হতে যা প্রয়োজন
চেকের মূল কপি সংরক্ষণ করুন
মামলার অন্যতম প্রধান প্রমাণ হলো মূল চেক। এটি ছাড়া মামলা প্রমাণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
ব্যাংক প্রত্যাখ্যানপত্র (ডিসঅনার স্লিপ)
চেক জমা দেওয়ার পর ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত প্রত্যাখ্যানপত্র আদালতে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে কেন চেক ফেরত এসেছে (অপর্যাপ্ত টাকা, স্বাক্ষর মিলেনি ইত্যাদি) তার উল্লেখ থাকে।
আইন অনুযায়ী নোটিশ প্রদান
চেক ফেরত আসার পর নির্দিষ্ট সময়সীমার (১৫ দিনের মধ্যে) মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনি নোটিশ পাঠাতে হবে। এটি আদালতে মামলার একটি অপরিহার্য শর্ত।
চুক্তি বা লেনদেনের প্রমাণ
চেক কোন লেনদেনের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে, তার লিখিত বা মৌখিক প্রমাণ থাকলে মামলার অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।
সঠিক সময়ে মামলা দায়ের
আইন অনুযায়ী নোটিশের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা করতে হয়। সময়সীমা পেরিয়ে গেলে মামলা অকার্যকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
আইনজীবীদের মতে, চেক সংক্রান্ত মামলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় নথি ও সময়সীমা মেনে চলাকে। তাই প্রমাণপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জয়ী হওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
চেকের মামলায় সঠিক প্রমাণ, সময়মতো নোটিশ ও দক্ষ আইনজীবীর সহায়তা থাকলে সহজেই মামলায় জয়ী হওয়া সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।