জুমবাংলা ডেস্ক : এক বছরের ব্যবধানে দেশে বাল্যবিয়ের হার বেড়েছে। বাল্যবিয়ে বাড়লেও নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কিছুটা কমেছে। ২০২৩ সালে দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী নারীদের বিয়ের হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, অথচ এ হার ২০২২ সালেও ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
আজ রবিবার স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিটিসটিকস-২০২৩ জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রতিবেদনে বাল্যবিয়ের এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা যায়, ২০২৩ সালে দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী নারীদের মধ্যে বিয়ের হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, ২০২২ সালেও এ হার ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া ১৮ বছরের আগে বিয়ের হারও বেড়েছে। গত বছর দেশে এ বয়সী নারীদের বিয়ের হার ছিল ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, অন্যদিকে ২০২২ সালেও এ হার ছিল ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।
জরিপের তথ্য বলছে, কখনও বিয়ে হয়নি বর্তমানে দেশে এমন নাগরিক রয়েছে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে পুরুষের আধিক্যই রয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত কখনোই বিয়ে হয়নি এমন পুরুষের হার ছিল ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ, যেখানে নারীদের হার ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন দম্পতিরা। বর্তমানে দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারের হার ৬২ দশমিক ১ শতাংশ, ২০২২ সালেও যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু বলেন, দেশের নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন কারণ অনেক নারী কর্মজীবী, বিশেষ করে শিক্ষিত নারীরা। তাদের কর্মের কারণে তারা স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকেন। দেশের শিক্ষিত নারীদের দেরীতে বিয়ের প্রবণতাও বেড়েছে। সূত্র : দেশ রুপান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।