আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সহকর্মীকে ফাঁসাতে শিশুদের খাবারে বিষ মিশিয়েছিলেন একজন শিক্ষিকা। আর সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসি দিয়েছে চীন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওয়াং উন নামের ওই শিক্ষিকার বয়স ৪০ বছর। ২০২০ সাল থেকে চীনের হেনান প্রদেশের আদালতে মামলা চলছিল ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন শিক্ষিকা। তারপরই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যা প্রকাশ্যে আসে চলতি সপ্তাহে।
তদন্ত কর্মকর্তারা যদিও ওয়াংয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানাননি। চীনে বেশিরভাগ মৃত্যুদণ্ড মাথার পেছনে বুলেট ছোড়ে কার্যকর করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় প্রাণঘাতী ইনজেকশনও।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন খুদে শিক্ষার্থীর খাবারে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রেট মেশানোর অভিযোগ উঠেছিল ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে। চার বছর আগের সে ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছিল। এছাড়া আরও দুই ডজন শিশুর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে কিছুতেই কোনো সূত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই তদন্ত চলেছে। অবশেষে শিশুদের খাবারে বিষ মেশানোর ঘটনায় শিক্ষিকার জড়িত থাকার সূত্র খুঁজে পান তদন্তকারীরা। কিন্তু তত দিনে স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেন ওয়াং।
ইচ্ছাকৃত ক্ষতির জন্য প্রাথমিকভাবে নয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন ওয়াং। কিন্তু পরে তার শাস্তি মৃত্যুতে উন্নীত করা হয়। ওয়াং অবশ্য আদালতে প্রাণ বাঁচানোর আবেদন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তার এক সহকর্মীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এমন পথ বেছে নিয়েছিলেন।
চীনে প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যুদণ্ড হয় তার সরকারি গণনা প্রকাশ্যে আসে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, দেশটি প্রতি বছর হাজার হাজার বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বলে ধারণা করা হয়, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশের চেয়ে বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।