আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সীমান্তে প্রায়ই সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে দেখা যায় চীনকে। এবার সিকিম সীমান্তের কাছেই যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল দেশটি। সম্প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে এমন দৃশ্যই দেখা যায়। চীনা যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা জায়গাটি ভারত সীমান্ত থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে এসব ছবির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ছবিগুলোতে দেখা যায়, চীনা বিমানবাহিনীর ৬টি জে–২০ যুদ্ধবিমান রাখা আছে শিগাৎসের বিমানবন্দরে। তবে, তা রাখা হয়েছে গোপনে।
এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। মন্তব্য চাওয়া হলেও মন্ত্রণালয়ের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে অবগত রয়েছে ভারতের বিমানবাহিনী (আইএএফ)। তবে তাদের পক্ষ থেকেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিগাৎসে হচ্ছে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। শহরের এই বিমানবন্দর মূলত সামরিক কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে, বেসামরিক কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ১২ হাজার ৪০৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের মধ্যে অন্যতম এই জে–২০ যুদ্ধবিমান। ধারণা করা হচ্ছে, ভারত সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হলে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার জন্যই এভাবে রাখা হয়েছে।
তবে, তিব্বতে এই প্রথম জে–২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেনি চীন। ২০২০ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে বেশ কয়েকবার এসব যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে দেখা গেছে। তবে, এবার একসঙ্গে এতগুলো দেখা গেল, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্ব কিছুদিন আলোচনার বাইরে ছিল। চলতি বছরের প্রথমদিকে অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি জায়গার নাম নিজেদের মতো রাখে চীন। সেই নাম প্রকাশও করা হয়। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। এর নামও দিয়েছে তারা জ্যাংনান। দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অরুণাচল প্রদেশের ৩০টি জায়গার নতুন নাম দিয়েছে চীন। নাম ঘোষণা করা ৩০টি জায়গার মধ্যে রয়েছে ১২টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পাহাড়ের পথ, একটি জমি ও ১১টি আবাসিক এলাকা। নাম প্রকাশ করার পাশাপাশি এসব এলাকার আধুনিক মানচিত্রও প্রকাশ করেছে বেইজিং।
উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই প্রদেশ নিয়ে চীনের এই কার্যক্রমের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘অরুণাচল প্রদেশ সবসময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।’
সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। প্রায়ই চরম আকার ধারণ করে এই বিরোধ। গত বছর অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। চীনের প্রকাশিত মানচিত্র নিয়েই মূলত এই দ্বন্দ্ব। ২৮ আগস্ট প্রকাশিত চীনের স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্রে দেখা যায়, ভারতের অরুণাচল ও আকসাই চিন অঞ্চল চীনের মানচিত্রের ভেতরে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।