আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের অরুণাচল প্রদেশে প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনের সামরিক বাহিনী! সেইসঙ্গে প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্পও করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএএল)! ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের এমন খবরে বেশ আলোচনা চাউর হয়েছে। এ নিয়ে ভারত সরকার প্রথম দিকে নিশ্চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও-এর খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে চীনা দখলদারির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করেছেন কিরণ রিজিজু। তিনি দাবি করেছেন এসব খবর সত্যি নয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কিরণ বলেছেন, ভারতের জমিতে ঢুকে যদি তারা তাদের ভূখণ্ড বলে লিখে রেখে যায়, তবে তা সত্যি হতে পারে না।
অরুণাচলের বিজেপির এই সংসদ সদস্য বলেন, চীন আমাদের জমি নিতে পারে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) অনির্ধারিত এলাকায় টহলে ‘ওভারল্যাপিং’ (দু’পক্ষই যাতায়াত করে)। তাদের স্থায়ী কিছু নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয় না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রয়েছে। অনির্ধারিত স্থানে শুধু চিহ্ন আঁকার মানে এই নয়, এলাকা দখল করা হয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএনআই’কে কিরণ রিজিজু বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কিছু মিডিয়ায় দেখানো হয়েছে চীনের পিএএল অরুণাচলের কিছু অঞ্চলে কিছু চিহ্ন এঁকেছে। কিন্তু আমরা সবাই অবস্থান জানি। ভারতীয় সরকার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব খবরে অবহিত আছে। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে চীনা আর্মি বা চীনা ফোর্স তাদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাইরে কোনো ধরনের স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেছেন, অরুণাচল প্রদেশে কিছু এলাকা আছে যেসব পুরোটাই অনির্ধারিত। শুরু থেকেই এসবের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ভারতীয় বাহিনী এবং চীনা বাহিনী উভয়ের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ক্রস করে। এবং দুর্গম ভূখণ্ড এবং অনির্ধারিত এলাকার কারণে মাঝেমধ্যে টহল দল অনির্ধারিত এলাকায় যায় এবং তারা সেখানে চিহ্ন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কিছু জিনিস মাটিতে ফেলা হয়।
ভারতের ৬০ কিলোমিটার ভূখণ্ড দখলের খবরকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেন তিনি। আমাদের সরকার আসার পর থেকে চীনারা আমাদের নিয়ন্ত্রণরেখার ভেতরে কোনো স্থায়ী কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি এবং পারবে না বলে জানান বিজেপির এই মন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।