আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রিয়াদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে মধ্যে সহযোগিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে চীনের সহযোগিতায় সৌদি আরবে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যতের নগরী ‘এনইওএম’। সৌদির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত তাবুক সিটিতে ২৬ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিশেষ এই নগরী গড়ে উঠছে।
জানা গেছে, এ নগরী নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি ডলার। পুরো শহরটি হবে সায়েন্স ফিকশন মুভিতে দেখানো শহরের মতো চোখ ধাঁধানো, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব। এনইওএম সিটির মূল প্রকল্পকে বলা হচ্ছে দ্য লাইন। শহরটি ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৫০০ মিটার উচুঁ ও ২০০ মিটার প্রশস্ত। আয়নাবসানো কাচের দেয়াল দিয়ে ঘেরা থাকবে। এই শহরের বাসিন্দারা পাঁচ মিনিট হাঁটার দূরত্বেই তাদের প্রয়োজনীয় সব সুবিধা পাবেন। শহরটিতে থাকবে অত্যাধুনিক পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা গণপরিবহন। ২০ মিনিটের ভেতরে শহরের যে কোনো প্রান্তে যাওয়া যাবে।
বলা হচ্ছে এই শহরে কোনো গাড়ি থাকবে না, কোনো সড়ক থাকবে না। এর কার্বন নিঃসরণ হবে শূন্য মাত্রার। অর্থাৎ পুরো শহরটি হবে পরিবেশবান্ধব। এই শহর নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত চীনা কোম্পানির ম্যানেজার ওয়াং লি বলেন, শুরুতে সৌদি আরবের অন-সাইট ম্যানেজমেন্ট টিম আমাদের পদ্ধতিকে অনুমোদন দেয়নি। তারা বলেছিল, আমাদের ভূতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের পদ্ধতিটি ভুল ছিল। ‘আমরা তাদের রাজি করানোর জন্য প্রযুক্তিগত আলোচনায় অনেক সময় ব্যয় করেছি।
এমনকি, আমরা দেশীয় বিশেষজ্ঞদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে প্রযুক্তিগত আলোচনা করার জন্য। তারা শেষ পর্যন্ত একটি টানেলে আমাদের পদ্ধতিটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করার অনুমতি দেয়। ফলাফলগুলি দারুণ ইতিবাচক হয়। পরবর্তী সময়ে এই পদ্ধতিটি সৌদি সরকার অনুমোদন দেন।’ এখানে সৌদি নাগরিক ফয়সাল মুতলাকও কাজ করছেন। তিনি চীনা ভাষা জানেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সৌদি আরবের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা আরও অনেক গভীর হবে বলে মনে করেন ওয়াং লি। সিসিটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।