আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান বিশ্ব উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর দ্রুত বৃদ্ধি এবং উন্নত অর্থনীতিগুলোর পতনের দ্বারা চালিত একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা পিডব্লুসি-এর ২০৫০ সালের বিশ^ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে, যা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ২০শতাংশে অবদান রাখবে।
ক্রয় ক্ষমতার সমতা (পিপিপি)-এর ক্ষেত্রে চীন ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। এবং ২০৩০ সালের আগেই দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের অবিস্বরণীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল উন্নয়নের একটি। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির জিডিপি ৪২.৯৬ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছবে এবং ২০৩০ সালের আগে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পিডব্লুসি-এর প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে যে, চীনের পর ভারত ২০৫০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। চীন এবং ভারত উভয়েরই বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এর একটি প্রতিবেদন পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আফ্রিকা মহাদেশ ২০৩০ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে। যদিও পোল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হবে বলে প্রত্যাশিত, তবে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জিডিপিতে ইইউর অবদান ১০শতাংশের এর নিচে নেমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনাম, ভারত এবং বাংলাদেশও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রাজিল, নাইজেরিয়া এবং তুরস্কের মতো দেশগুলিতে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ব্যবসাগুলি দেশগুলোর জন্য যথেষ্ট সুযোগ উপস্থাপন করে, যা এই অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের সম্ভাবনা ধারণ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।