আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত নভেম্বর মাসে, চীন পিংজিয়াং কাউন্টিতে একটি বিশাল সোনার ভাণ্ডার আবিষ্কার করে, যা বিশ্বব্যাপী সংবাদে উঠে আসে। চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই অঞ্চলে সোনার ভাণ্ডারের পরিমাণ প্রায় ১,০০০ মেট্রিক টন, যার মূল্য প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, ২ কিলোমিটার গভীরতায় ৪০টি সোনার শিরা পাওয়া গেছে, এবং বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর চেয়েও গভীরে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত আরও সোনার ভাণ্ডার থাকতে পারে। যদি এটি নিশ্চিত হয়, তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার ভাণ্ডারগুলোর একটি হতে পারে।
এদিকে, পাকিস্তানও তার পাঞ্জাব অঞ্চলে একটি বিশাল সোনার ভাণ্ডার আবিষ্কার করেছে। পাকিস্তানের জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, আত্তক জেলার মধ্যে প্রায় ৩২.৬ মেট্রিক টন সোনা পাওয়া গেছে, যার মূল্য প্রায় ৬০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এই আবিষ্কার পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি বর্তমানে গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন, যেমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং আর্থিক অস্থিরতা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিন্ধু নদীর তীরবর্তী এই সোনা সম্ভবত উত্তরাঞ্চলের পর্বতগুলি, যেমন হিমালয় থেকে এসেছে। কয়েক মিলিয়ন বছরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় সোনার কণা নদীর পানির সাথে প্রবাহিত হয়ে নদীর তীরের পাশে সঞ্চিত হয়েছে।
পাঞ্জাবের খনির মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ এই আবিষ্কারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যেটি ব্যাপক ভূতাত্ত্বিক তদন্তের পর নিশ্চিত হয়েছে। এখন সরকার সোনা উত্তোলন এবং নিলাম করার জন্য নিয়মনীতি তৈরি করছে, এবং এই প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কর্তৃপক্ষ অবৈধ খনন কার্যক্রমের বিষয়েও মনোযোগ দিচ্ছে, যা এই অঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীন এবং পাকিস্তানে এই সোনার আবিষ্কার দুটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা এবং উত্তোলনের মাধ্যমে, দুটি দেশই তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি করতে সক্ষম হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।