আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো ধরনের যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত চীন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের তীব্র বিরোধিতা করে এ কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস।
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম ভাষণ দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্পের ওই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর চীনা দূতাবাসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ চায়, তা শুল্ক যুদ্ধ হোক বা বাণিজ্য যুদ্ধ অথবা অন্য যেকোনো ধরনের যুদ্ধ- অমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত।
এতে বলা হয়, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। তাদের সঙ্গে একই সুর তুলেছে কানাডা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিশানার আরেক দেশ মেক্সিকোও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। ট্রাম্পের এমন নীতিতে বিশ্ব কার্যত একটি বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু এতে ট্রাম্পের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। তার ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে চীনের ওপর আরোপ করা হয়েছে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক।
এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন মার্কিন কৃষি খাদ্যপণ্যে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যকর হবে। তবে এ সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে ওয়াশিংটনকে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
এদিকে কানাডা জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। ওয়াশিংটনের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সময় সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ নেই। এটি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে বিঘ্ন ঘটাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।