আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি নৌবাহিনীর জন্য হাঙ্গর-শ্রেণিভুক্ত সাবমেরিন তৈরি করেছে চীন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নির্মিত এই সাবমেরিনকে জনসম্মুখে এনেছে বেইজিং। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে বলা হয়েছে, সামরিক উন্নয়ন প্রকল্পকে সামনে রেখে পাকিস্তানকে এবারই প্রথম হাঙ্গর সাবমেরিন দিতে যাচ্ছে চীন। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ওই সাবমেরিন প্রদর্শন করে শুয়াংলিউ ভিত্তিক চীনের সাবমেরিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওচাং শিপবিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ (ডব্লিউএসআইজি)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান নাভিদ আশরাফ। ইসলামাবাদ এবং বেইজিংয়ের মধ্যে সামরিক চুক্তির অধীনে পাকিস্তানের জন্য হাঙ্গর-শ্রেণিভুক্ত সাবমেরিন তৈরি করছে চীন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে বেইজিংয়ের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করে ইসলামাবাদ। সে সময় মোট আটটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরির চুক্তি হয়। এর চারটি নির্মাণের কাজ পেয়েছে চীনের ডব্লিউএসআইজি আর বাকি চারটি পাকিস্তানের করাচি শিপইয়ার্ডের (কেএসএন্ডইডব্লিউ) অধীনে নির্মিত হচ্ছে।
হাঙ্গর-শ্রেণিভুক্ত এসব সাবমেরিন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত।
এ ছাড়া এসব জলযান যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পানির নিচে শত্রুপক্ষকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম। এতে নিজেদের জলসীমা প্রতিরক্ষা জোরদার হবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ ওই সাবমেরিনের প্রশংসা করেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর প্রধান নাভিদ। তিনি বলেন, এই সাবমেরিন আমাদের জলসীমা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আশপাশের অঞ্চলে সমুদ্রে স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও হাঙ্গর সাবমেরিন বিশেষ ফল নিয়ে আসবে বলে মনে করেন নাভিদ। হাঙ্গর- শ্রেণিভুক্ত সাবমেরিন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দু’দেশের সামরিক সহায়তায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেএসএন্ডইডব্লিউ’র ষষ্ঠ হাঙ্গর-সাবমেরিন নির্মাণের কাজ শুরুর পরপরই শুক্রবার ইসলাবাদের জন্য নতুন বিশেষ এ সাবমেরিন জনসম্মুখে আনলো বেইজিং। চীনের সঙ্গে সমরাস্ত্র আমদানি পাকিস্তানের জন্য নতুন নয়। এর আগেও দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বেইজিংয়ের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাস্ত্র্ত্র আমদানি করেছে ইসলামাবাদ। গতবছরও চীনের কাছ থেকে ০৫৪ এ/পি নামের নতুন দুটি যুদ্ধজাহাজ আমদানি করেছে পাকিস্তান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।