জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারার মতো ফল এবং হিমায়িত খাদ্যপণ্য আমদানিতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। আজ শনিবার (২৭ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-চীন দ্বাদশ ফরেন অফিস কনসালটেশন’ শীর্ষক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান দেশটির সফররত প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সেক্রেটারি পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনা দলের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান ওয়াইডং।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে ডিএফকিউএফ শীর্ষক বাজার প্রবেশাধিকারের আওতায় শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, নন-নিট পোশাক ইত্যাদির মতো অন্যান্য রফতানি আইটেম অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৈঠকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহ দেখিয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
উভয় প্রতিনিধি দল পারস্পরিক স্বার্থ এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। চীনা পক্ষ এক চীন নীতিতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে কভিড- ১৯ মহামারী মোকাবেলায় সহায়তার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে কয়েকটি অতিরিক্ত প্রকল্প প্রস্তাবের গতি সঞ্চারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক এবং কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) প্রবেশাধিকার ব্যবহার করে চীনে রফতানি বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে।
চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন সান ওয়াইডং। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে নিয়মিত কনস্যুলার পরামর্শ চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিতে উদ্ভাবনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহ দেখিয়েছে উভয় পক্ষ।
অনলাইন জুয়া এবং মাদক পাচারের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরিতে চীন তার সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। জননিরাপত্তা ইস্যুতে সংলাপের বিষয়ে দুই পক্ষ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। চীনের পক্ষ বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে সহায়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।