আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশের সমুদ্র এবং আকাশসীমায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষণ অভিযান চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। ৪ অগাস্ট থেকে শুরু হয়ে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত এ মহড়া চলবে।
৪ অগাস্ট গোলাবারুদের মহড়া ও প্রশিক্ষণের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোং সিয়াং ছিং। তিনি বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালীতে এই মহড়া হলো বোমাবাহী বিমানের প্রথম প্রতিরোধমূলক মহড়া এবং যা সমুদ্রে পারমাণবিক সাবমেরিন অংশগ্রহণের অবস্থায় একটি ত্রিমাত্রিক যুদ্ধ-ব্যবস্থা তৈরি করেছে। প্রথমবার তাইওয়ান দ্বীপের পূর্বাঞ্চলকে শুটিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। পেলোসি’র জন্য পাহারা দেয়া মার্কিন ‘রিগান’ বিমানকে শতাধিক কিলোমিটার দূরে তাড়িয়ে দিয়েছে পিএলএ।
তিনি বলেন, এবার প্রধানত ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সঙ্গে অন্যান্য কমান্ডের সেনারাও এতে অংশ নিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, চীনা গণ-মুক্তিফৌজের বিভিন্ন থিয়েটার কমান্ডের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার দক্ষতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে এবং যৌথ যুদ্ধের দক্ষতা বিপুলভাবে উন্নত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের মহড়া ও প্রশিক্ষণের তীব্রতা ও প্রতিরোধের ক্ষমতা আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এটি হলো তাইওয়ান দ্বীপের কাছে প্রথম মহড়া। প্রথমবারের মতো তাইওয়ান দ্বীপ ঘেরাও করা হয়। প্রথমবারের মতো তাইওয়ান দ্বীপের পূর্বাঞ্চলকে প্রকৃত শুটিং রেঞ্জের মধ্যে আনা হয়, যা ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দাবিদারদের জন্য বিশাল প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। গোলাগুলি প্রথমবারের মতো তাইওয়ান দ্বীপের দিকে হয়েছিল এবং আকাশসীমার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল যেখানে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েন ছিল।
একই সময় আমেরিকান ‘এজিস’ এর নাকের নিচে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল। এ থেকে দেখা যায়, চীনা সেনাবাহিনী দূর সমুদ্রে এবং দূরবর্তী স্থান নির্ভুলভাবে দেখতে পারে এবং যুদ্ধ করতে পারে। প্রথমবারের মতো একটি ত্রিমাত্রিক সামুদ্রিক যুদ্ধ-ব্যবস্থা যাচাইয়ের জন্য বিমানবাহী রণতরীর প্রতিরোধমূলক মহড়া আয়োজন করা হয়েছিল। সূত্র: সিআরআই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।