রাষ্ট্র পরিচালিত রেডিও পাকিস্তানের মতে, ১ হাজার ২১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললাইনটি বৃহত্তর এমএল-১ (মেইন লাইন ১) প্রকল্পের অংশ হবে, যা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) কেন্দ্রস্থল করাচি-পেশোয়ার রেলওয়ে করিডোরের ৬.৭ বিলিয়ন ডলারের আপগ্রেড।
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসি এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, নতুন বুলেট ট্রেনগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এবং হায়দ্রাবাদ, মুলতান ও সাহিওয়ালে মূল স্টপেজের পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, প্রকল্পটি চীনের সহায়তায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং চীন রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন এটি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতাধীন উন্নয়নের মধ্যে থাকবে দ্বৈত ট্র্যাক, পুনর্নির্মিত সেতু এবং একটি অত্যাধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম।
দ্রুত এবং আরও কার্যকর যাত্রী ভ্রমণের পাশাপাশি, উচ্চ-গতির রেল লাইনটি পাকিস্তানের মালবাহী সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে রেলের অংশ ৪ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করবে।
কর্মকর্তাদের আশা, প্রকল্পটির নির্মাণ এবং পরিচালনা ¬– উভয় পর্যায়েই হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি, রেলপথে স্থানান্তরের ফলে ব্যয়বহুল সড়ক পরিবহনের ওপর পাকিস্তানের নির্ভরতা হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে জ্বালানি আমদানিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।
পরিবহন অবকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও, দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগের অভাব, পুরনো প্রযুক্তি এবং ঘন ঘন বিলম্বের কারণে ভুগছে পাকিস্তানের রেল খাত।
পাকিস্তান রেলওয়ে বর্তমানে ৭,৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেলপথ পরিচালনা করে, কিন্তু কয়েক দশকের অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সূত্র: এআরওয়াই নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।