লাইফস্টাইল ডেস্ক : গভীর রাতে কুকুরের ডাকাডাকি কে না শুনেছে? হয়তো কখনো গভীর রাতে হঠাৎ কুকুরের গগনবিদারী চিৎকারে আপনারও ঘুম ভেঙেছে। ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতেও কোনো অচেনা আগন্তুক যদি আপনার বাড়ির সীমানায় পা রাখে, সে হোক চোর কিংবা শিয়াল-তাহলে সবার আগে কে টের পায়? নিশ্চয়ই আপনার আঙিনায় থাকা বিনা বেতনের পাহারাদার কুকুরটি। কখনও ভেবেছেন কি মানুষের আগেই কিভাবে চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় একটা কুকুর?
কুকুর কীভাবে চোরের উপস্থিতি টের পায়? চলুন এই প্রশ্নটির বিজ্ঞানসম্মত উত্তর জেনে নেয়া যাক।
শিয়াল বা চোর যখন কোনো বাড়িতে ঢোকে, তখন তারা খুব সন্তর্পণে পা ফেলে যেন এতটুকুও শব্দ না হয়। বিজ্ঞান বলে, তাদের পা ফেলার সেই শব্দের কম্পন ২০ হার্জের কম। অর্থাৎ, সেটা ইনফ্রাসনিক শব্দ। অন্যদিকে কুকুরের শ্রবণ সীমা ১৫০০০ হার্জ থেকে ২৫০০০ হার্জ পর্যন্ত। তাই কুকুর ২০ হার্জের কম কিন্তু ১৫ হার্জের বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়। অতএব চোর আর শেয়ালের আগমনের খবর স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আগে টের পায় কুকুর।
বিজ্ঞানের আরেকটি ব্যাখ্যা আমাদের জানায়, কুকুরের ঘ্রাণ শক্তিও অত্যন্ত প্রখর এবং প্রত্যেকটা মানুষের গায়ের গন্ধ আলাদা করে মনে রাখতে পারে। তাই গভীর রাতে অপরিচিত লোক বাড়িতে ঢুকলে কিংবা রাস্তা ধরে হেঁটে গেলে কুকুর টের পাবেই। তেমনি শিয়ালের গায়ের গন্ধও কুকুর বহুদূর থেকেই টের পায়।
গন্ধের এ ব্যাখ্যাটাও ঠিক। তবে সেটা শুধু কুকুর জেগে থাকলেই সম্ভব। ঘুমন্ত কুকুর শুধুমাত্র গন্ধের কারণেই চোর আর শিয়ালের অস্তিত্ব টের পেয়ে যাবে- এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। মূলত এখানে শব্দ তরঙ্গের কম্পনই আসল ব্যাপার।
পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে, তার মধ্যে কীটপতঙ্গের সংখ্যাটাই বেশি। দিনের বেলা সেটা অত বোঝা যায় না। মানুষের কর্মব্যস্ত জীবনের কোলাহলের শব্দে কীটপতঙ্গের ডাক চাপা পড়ে যায়। তবে, রাত হলেই ভেসে আসে হাজারো কীটপতঙ্গের শব্দ। কিন্তু সব কীটপতঙ্গের ডাক কি আমরা শুনতে পাই? অবশ্যই না।
পৃথিবীর শতকরা দশভাগ কীটপতঙ্গের ডাক আমাদের কানে পৌঁছায় না। কারণ তারাও পরস্পরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে ওই ইনফ্রাসনিক অথবা আল্ট্রাসনিক কম্পাঙ্কের শব্দের সাহায্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।