নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে শামছু বাহিনী ও আলাউদ্দিন বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনার দুই দিন পর শামছু বাহিনীর প্রধানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।

হাতিয়া থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার জাগলার চরের একটি বনের ভেতরে খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি মো. শামছুদ্দিন ওরফে শামছু (৬৫)। তিনি উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছায়দুল হকের ছেলে। পুলিশের দাবি, তিনি ‘কোপা শামছু’ বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার জাগলার চরের দখলকে কেন্দ্র করে শামছু বাহিনী ও আলাউদ্দিন বাহিনীর মধ্যে দিনভর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই দিন পুলিশ শামছুর কলেজপড়ুয়া ছেলে মোবারক হোসেন শিহাব (২৩)সহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে শামছুর নিহত হওয়ার তথ্য জানানো হলেও রাতেই তার পরিবার জানায়, নিহতদের মধ্যে শামছু নেই।
পরবর্তীতে শামছুর পরিবার প্রশাসনের কাছে তার জীবিত বা মৃত অবস্থার সন্ধান দাবি করে। দুই দিন পর বৃহস্পতিবার শামছুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে শামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জাগলার চরের দখল নিয়ে ঘটনার দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই বাহিনীর মধ্যে একাধিক দফা গোলাগুলি চলে। এতে শামছু ও আলাউদ্দিন বাহিনীর অন্তত ছয়জন নিহত এবং ১০ জনের বেশি আহত হন।
নিহতরা হলেন— আলাউদ্দিন বাহিনীর প্রধান ও হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের চর আমানউল্যাহ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন (৩৫), শামছু বাহিনীর প্রধান শামসুদ্দিন ওরফে কোপা শামছু (৬৫), তার ছেলে মোবারক হোসেন শিহাব (২৩), চানন্দী ইউনিয়নের নলের চরের কামাল উদ্দিন (৪০), হাতিয়া পৌরসভার পশ্চিম লক্ষিদিয়া এলাকার হকসাব (৫৫) এবং সুবর্ণচর উপজেলার দক্ষিণ চর মজিদের আবুল কাশেম (৬২)।
ঘটনার পরদিন বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পাঁচজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এছাড়া ঘটনার রাতে একজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত সোহরাহ নিঝুম দ্বীপের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খবির উদ্দিনের ছেলে।
তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো : আখতার হোসেন
পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



