জুমবাংলা ডেস্ক : শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। মাঘের আগেই হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু এখানকার জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। উত্তর থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস দুর্ভোগ বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না এ জেলায়।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায় (৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে অনেককে। শীতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক পলাশ উদ্দিন বলেন, ‘এই শীতে ধানের চারা নষ্ট হয়ি যাচ্চি। নেয়র (কুয়াশা) পড়ি ধানের চারা পুড়ি যাচ্চি। চারা নষ্ট হয়ি গেলি ধান লাগাবো কী করি?’
অর্থনীতিবিদ, ঢাবি শিক্ষক, কূটনীতিক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। মূলত ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত না হওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।’
তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।