জুমবাংলা ডেস্ক : দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাজিদুল আলমের বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকার চুল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বুড়িচং থানায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খাড়াতাইয়া এলাকা থেকে ইয়াকিন হিউম্যান হেয়ার প্রসেসিং অ্যান্ড সাপ্লাই নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ৮ বস্তা চুল ছিনতাই হয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে এসব চুল কুমিল্লা শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ১৬ লাখ টাকার এ চুল ছিনতাই করেন ছাত্রলীগ নেতা সাজিদুল আলম। ছিনতাইয়ের পর অটোরিকশা করে চুলগুলো নিয়ে যাওয়া হয়, সেটির চালককে আটক করে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাজিদুলের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযোগ ওঠে, একদল দুর্বৃত্ত অটোরিকশাটির গতিরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে চালককে মারধর করে। তারা অটোরিকশাসহ চুলগুলো ছিনতাই করে আগানগর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আরেকটি অটোরিকশায় চুলগুলো তুলে কণ্ঠনগরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন ইয়াকিন হিউম্যান হেয়ার প্রসেসিং অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির।
জিডির পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমানের নির্দেশনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুর রহমান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। তারা একটি সিসিটিভি ফুটে পান। সেটি থেকে মূল ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করা হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এক অটোরিকশা চালককে আটক করেন তারা।
আটককৃতের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সোমবার (১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ছিনতাই হওয়া চুল, একটি অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে বুড়িচং থানা পুলিশ। এরপর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ইয়াকিন হিউম্যান হেয়ার প্রসেসিং অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের মালিক হুমায়ুন কবির।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফুর রহমান জানান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাজিদুল আলমকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া চুলের মূল্য ১৬ লাখ টাকার বেশি বলেও তিনি জানান।
আসামি সাজিদুল আলম ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া গাজীপুর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। গ্রেফতার অটোরিকশা চালকের নাম আশরাফুল ইসলাম (২৫)। তিনি রাজাপুর ইউনিয়নের উত্তর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে।
বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান জানান, অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা ছাত্রলীগ নেতা সাজিদুল আলমের ছিনতাইয়ের বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি প্রমাণিত তিনি ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।