ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে আমাজনের পার্সেল বক্স, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

আমাজনের পার্সেল বক্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবার হঠাতই এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখে অনলাইনে শপিং করার আগে অন্তত দুবার ভাববেন মানুষরা। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, গুয়াহাটি স্টেশনে ট্রেন থেকে পার্সেলগুলো নামানোর সময় সেগুলোকে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। আর তাই দেখে বিতর্কের আগুন লেগে যায় টুইটারে।

আমাজনের পার্সেল বক্স

এদিকে ভিডিও ভাইরাল হতেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিষয়টাকে পরিষ্কার করতে চেয়েছে জনগণের সামনে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষজন দেখতে পান যে, রেলস্টেশনের বেশ কয়েকজন কর্মী ট্রেনে আসা পার্সেলগুলি আনলোড করছেন। তবে, পার্সেলগুলি যেভাবে স্থানান্তর করছেন তারা সেটা প্রশ্নযোগ্য। টুইটার ব্যবহারকারীরা ভিডিওটির কমেন্ট সেকশনে হাজারো অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন।

নেটিজেনরা ওই ভিডিও দেখে মোটেই শান্ত হতে পারছেন না। শত শত পার্সেল ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে আর খুবই অসাবধানতায় করা হচ্ছে এই কাজ। ভিডিও দেখে অনেকে রেলের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বেশিরভাগ ট্যুইটার ব্যবহারকারী তাদের পার্সেলগুলির যত্ন না নেওয়ার জন্য রেলওয়েকেই দায়ী করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ বিভিন্ন অনলাইন কোম্পানির প্যাকেট ছুঁড়ে ছুঁড়ে আনলোড করা হচ্ছে ট্রেন থেকে। আর সেই নিয়ে একজন লিখেছেন যে, “এটা ভারতীয় রেলের লজ্জা। আশা করা যায় যে, এই কাজের সাথে যুক্ত থাকা প্রত্যেকেই শাস্তি পাবেন।” আবার আরেকজন লিখছেন দেন যে, “দেখুন রেল আপনার পার্সেলের সাথে কতটা ভাল আচরণ করে। এর ফলে অনেক সময় গ্রাহকের কাছে নষ্ট হওয়া, ভাঙা প্রোডাক্ট পৌঁছায় এবং তার ফলে গ্রাহকের অসুবিধা হয়।”

ভিডিও ভাইরাল হতেই মানুষের রেলের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে দেখে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই নিয়ে একটি বয়ান জারি করেছে। তারা বলেছে যে, “এটি ২০২২ সালের মার্চের একটি পুরানো ভিডিও। এছাড়া সেখানে পার্সেল আনলোড যারা করছিলেন তাঁরা কেউই রেলের প্রতিনিধি নন, সবাই নিজস্ব কোম্পানির লোক। রেলওয়ে বিভিন্ন পক্ষের চুক্তির ভিত্তিতে পার্সেল স্থান বুকিং অফার করে।”

সবকিছুকে ছাড়িয়ে পৃথিবীতে মায়ের ভালবাসাই সেরা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

রেলের তরফ থেকে ট্যুইট আসার পর রেলের ওপর থেকে মানুষের রাগ কমলেও অনলাইন শপিং কোম্পানি গুলোর সার্ভিস নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলেছেন অনেকে। তাদের মতে এভাবে পার্সেল ডেলিভারি হলে অনলাইন কেনাকাটা করার যৌক্তিকতা কী?