জুমবাংলা ডেস্ক: এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে সরকার ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত মানছে না সিগারেট কোম্পানি।
তাদের মজুত করা সিগারেটের কার্টুনে পূর্বের মূল্য লেখা থাকলেও নতুন বাজেট ঘোষিত উচ্চমূল্যে এসব সিগারেট বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে সরকার আবারও রাজস্ব হারাচ্ছে।
সরেজমিন বাঘার সিগারেট ব্যবসায়ী সুলতান আহাম্মেদ, বাদশা আলম, জাদু মিঞা ও কাউসার আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর বাজেটে সিগারেটের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও রাজশাহী অঞ্চলের ডিলার এবং তাদের প্রতিনিধিরা মজুতকৃত পূর্বের সিগারেট নতুন বাজেট ঘোষিত অধিক মূল্যে বিক্রি করছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে ভাউচার চাইলে তারা ভাউচার দিচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ইতিপূর্বে আমরা বেনসন সিগারেট ক্রয় করেছি ২৮৪ টাকা প্যাকেট। কিন্তু এখন কিনতে হচ্ছে নতুন বাজেট মূল্য ৩১০ টাকায়। অথচ প্যাকেটের সঙ্গে অদ্যবধি পূর্বের মূল্যেই লেখা আছে। অনুরূপভাবে গোল্ডলিফ ২২২ টাকার স্থলে ২৪০ টাকা, ডার্বি ৪০ টাকার স্থলে ৪৫ টাকা এবং স্টার ৬৫ টাকার স্থালে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর ফলে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহীতে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পানির সিগারেট ডিলার ‘মেসার্স আবুল হোসেন’ এর ম্যানেজার রাইসুল ইসলামের সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোনটি কেটে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে ফের তাকে মোবাইল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সিগারেটের প্যাকেট মূল্য থেকে বিক্রয় মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়া সিগারেট ভোক্তাদের নির্ধারিত মূল্যের অধিক অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। গত ১১ মে ‘রাজস্ব আয় সিগারেটের ঘোষিত মূল্য ও বাজার মূল্যের পার্থক্যের প্রভাব’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র পরিসরে পরিচালিত বাজার গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।