জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের রামাইখাল এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে কলাপাড়া হাসপাতালে এবং ৬ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাবনাবাদ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ এই এলাকায় বসবাস করেন। তবে চম্পাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব মিয়া ওই নদীর বিশাল অংশ জুড়ে খুটা জাল পেতে রাখেন, যা দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য জেলেদের মাছ শিকার করতে সমস্যা তৈরি করছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিএনপি নেতা মাহতাব ও তার সহযোগী স্বপন খান কলাপাড়া থেকে চম্পাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রামাইখাল এলাকায় কিছু জেলে তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন এবং স্বপন খানকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। যেভাবে তারা সেখানে ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর শনিবার সকাল ১০টায় একই এলাকায় বসে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ফয়সাল হাওলাদার এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদল সাধারণ সম্পাদক রাজমনি মারধরের শিকার হন। দুপুরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মাহতাব গ্রুপ এবং ইউনিয়ন কৃষকদল সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মুন্সী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।