সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ-০২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার সকালে হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার, যাত্রাপুর গ্রাম ও উপজেলা চত্বরে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ দেওয়ান, বয়ড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক অসীম মিয়া, শ্রমিক লীগের আহ্বায়কের বোন আসমা, আহ্বায়কের সঙ্গে থাকা আব্দুল রাজ্জাক, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও নিরঞ্জন।
আহতদের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও নিরঞ্জন উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থক বলে জানা গেছে। অন্য চারজন এমপির সমর্থক। পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহতদের মধ্যে শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ দেওয়ান মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ দেওয়ান বলেন, ‘ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমেন্টস করার কারণে এবং এমপি মমতাজ বেগমের পক্ষে রাজনীতি করি বলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলেসহ তার লোকজন হামলা করে এবং আমাকে, রাজ্জাককে এবং আমার বোনকে রক্তাক্ত করেছে।’
আহত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, ‘আমি উপজেলায় যাচ্ছিলাম। উপজেলা চত্বরে আসা মাত্র ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অতর্কিত হামলা করে আমাকে রক্তাক্ত করেছে। কি কারণে আমার ওপর হামলা করেছে তা বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের ছেলে নবীনুর দেওয়ান বারবার ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর হামলা করছে। আজ শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও তাঁর বোনকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে জখম করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করানো হচ্ছে। সকল অভিযোগই বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে নবীনুর দেওয়ান হরিরামপুরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে এত বেপরোয়া অথচ উপজেলা চেয়ারম্যান কেন নিয়ন্ত্রণ করছে না, জানি না। উনার ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে। আমি এসপি ও ডিসিসহ প্রশাসনকে জানিয়েছি। উনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।