সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ২ জন আহত হয়। এসময় পুস্পস্থবক অর্পন করতে আসা বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের লোকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। থম থমে পরিস্থিতি চলতে থাকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে। পরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রতক্ষদর্শী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শুরু করেন। বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন শহীদ বেদিতে ফুল দেন। পরে বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল সালাম সরদার সমর্থকদের নিয়ে ফুল দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকষর্ণ করে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষে তো শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। এর পর বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামা লীগের পক্ষে থেকে কেউ শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করতে পারে না। পরে রুহুল আমিনের সমর্থকরা উত্তেজিত হলে হট্টগোল বাঁধে। এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বালিয়াটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও ফুকুরহাটির নাজমুল হোনেনসহ কয়েকজন আহত হয়। নাজমুলের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেছি। এরপর আওয়ামীলীগের ব্যানারে বহিস্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী ও তার সমর্থকরা পূনরায় পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এটা ত হতে পারে না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ত একটা, দুটি হতে পারে না। এ বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নেতা কর্মীদের মাঝে ভুল বুঝা বুঝি হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়। যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
মানিকগঞ্জ এ্যাপোলো হাসপাতাল: প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান মীর সোহেল আহম্মেদ চৌধুরী জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করি। পরে আওয়ামীলীগের ব্যানারে পুস্পস্তবক অর্পণ করি। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রহুল আমিন আপত্তি করলে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ কে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আমাদের সামনেই ঘটে। জাতীয় দিবসে প্রকাশ্যে এমন ঘটনায় আমরা বিব্রত। সিনিয়দের সাথে কথা বলে দোশীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, আমি উপস্থিত না থাকলে আরও ভয়াবহ রুপ নিতে পারত। ঘটনার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে হট্রগোল হয় সকাল ৮ টার দিকে। আমি ও আমার ফোর্স মিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে থম থমে অবস্থা শান্ত করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।