জুমবাংলা ডেস্ক : খাগড়াছড়িতে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আগুন দেওয়া হয়েছে দোকানপাটে। সংঘর্ষের সময় দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলার দিঘীনালা উপজেলার লারমা স্কোয়ার এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে পানখাইয়া পাড়া এলাকায় চোর সন্দেহে মো. মামুনকে পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মামুন মধ্য শালবাগান এলাকার মৃত নূর নবীর ছেলে। তার স্বজনদের দাবি, মামুনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাটির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিঘীনালার কলেজ গেইট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। দিঘীনালা ডিগ্রি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে লারমা স্কোয়ারে যেতে চাইলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এসময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও করা হয়। তখন লারমা স্কোয়ার সংলগ্ন দোকানপাটে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ স্থানীয়রা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার পংকজ বড়ুয়া বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কতটা দোকান পুড়েছে তা এখনো নির্ণয় করতে পারিনি।
এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের দিঘীনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দিঘীনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তদন্ত করে বের করা হবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দিঘীনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।