আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনাটি ব্রাজিলের। সে দেশেরই এক সংবাদ সংস্থা ‘মিলেনিও’য় প্রকাশিত হয়েছে এই খবর। তারা ওই শিক্ষিকার পরিচয়ও জানিয়েছে। সিবেলি ফেরারিয়া নাম ওই শিক্ষিকা ব্রাজিলের একটি স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন।
একঘেয়ে পড়াশোনাকে পড়ুয়াদের কাছে একটু আকর্ষণীয় করতে চেয়েছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টাকে ভাল চোখে দেখল না স্কুল! মনোরঞ্জনের নামে ক্লাসের ছাত্রদের সঙ্গে তিনি যা করেছেন, তাকে ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকাকে জানিয়েছেন, তাঁকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হল। ওই স্কুলে তাঁর আর পড়ানোর প্রয়োজন নেই।
ঘটনাটি ব্রাজিলের। সে দেশেরই এক সংবাদ সংস্থা ‘মিলেনিও’য় প্রকাশিত হয়েছে এই খবর। তারা ওই শিক্ষিকার পরিচয়ও জানিয়েছে। সিবেলি ফেরারিয়া নাম ওই শিক্ষিকা ব্রাজিলের একটি স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। তবে সিবেলির আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি দিনে শিক্ষকতার চাকরি করলেও তার পরে মডেলিংয়ের কাজ করেন। ইন্সটাগ্রামে ১২ লক্ষ অনুরাগী রয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের গ্রাহক ভিত্তিক সমাজমাধ্যম ওনলি ফ্যানসের জন্যও মডেলিং করেন।
মিলেনিও জানিয়েছে, সিবেলি প্রায়ই তাঁর ইংরেজি ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ক্লাসরুমেই নাচতেন। তাঁর সেই নাচের ভিডিয়োও পোস্ট করতেন টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে। সেই সমস্ত ভিডিয়োয় ছাত্রদের সঙ্গে সিবেলির নাচের ভঙ্গি এবং তাঁর খোলামেলা পোশাকআশাক দেখে চমকে যান অভিভাবকেরা। তাঁরা এই নিয়ে অভিযোগ জানান, পাশাপাশিই সমাজমাধ্যমের দর্শকও ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষিকার ওই নাচের ভঙ্গি দেখে সমালোচনা করেন।
ব্রাজিলের ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথমে মাসে একটি বা দু’টি এমন ভিডিয়ো করলেও ইদানীং সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কালক্রমে সিবেলির সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা সেই ভিডিয়ো চোখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। ইংরেজি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করে তারা।
ব্রাজিলের ওই সংবাদ সংস্থাকে অবশ্য সিবেলি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পড়ুয়াদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। তাদের সঙ্গে যে ভিডিয়ো তিনি রেকর্ড করেছেন, তা শুধুমাত্র অতিরিক্ত উপার্জনের জন্যই। সিবেলির কথায়, ‘‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী হিসাবে আমি অতিরিক্ত উপার্জনের একটি ব্যবস্থা করেছি মাত্র। এমন নয় আমি লুকিয়ে কিছু করছি। আমার পরিবার, আমার মা এ বিষয়ে জানেন এবং কখনও আপত্তি করেননি।’’
সিবেলি মনে করেন, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারই নিজের শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত এবং ছুঁতমার্গ ছেড়ে স্বাধীন বোধ করা উচিত। ব্রাজিলের ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ওই স্কুলশিক্ষিকা একজন জীববিদ্যা বা বায়োলজির ডিগ্রিপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষিতা, যদিও স্কুলে তিনি ইংরাজি পড়াতেন। ব্রাজিলের লাভ্রাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।