জুমবাংলা ডেস্ক : ওরা দুই জন সমকামী কিশোরী। কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী দু’জনই। সর্ম্পকের গভীরতা এতো জোরালো যে বিষয়টি দৃশ্যমান হয়ে যায় পরিবারের চোখে। তারপর শুরু হয় সর্ম্পক বিচ্ছেদের চাপাচাপি। কিন্তু তারা মানতে নারাজ।
এরপর পাড়ি দেয় অজানার উদ্দেশে দু’জনই। বন্ধ করে দেয় নিজদের ব্যবহৃত মোবাইল সীম। নোঙ্গর টানে দু’ুজন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে। ঘটনার বাস্তব এ গল্প ঢাকার তেজগাঁও মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির দুই কিশোরী শিক্ষার্থী।
গত ২২শে মে ঢাকা থেকে এসে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরে পৌছে দু’জনই। দুইবোন পরিচয় দিয়ে কলেজে পড়ছে বলে, পড়াশোনার কথা বলে ভাড়া নেয় একটি বাসা। কিন্তু এ দু’জনের খোঁজে অস্থির তাদের পরিবার। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে পরিবার পুলিশ ও র্যাবের দ্বারস্থ হন দু’পরিবার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে খোঁজ মেলে দুই কিশোরীর অবস্থান।
পরিবারের লোকজন স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করেন তাদের। পরিবারের লোকজনের তথ্য মতে, দু’জনের একজনের বাসা ঢাকার মগবাজারে অন্যজনের বাসা বরিশাল সদরে। কলেজ হোস্টেলে থেকে পড়াশোনার সুবাদে দু’জনের সম্পর্ক গড়ায় বন্ধুত্বে। পরবর্তীতে দু’জনের অস্বাভাবিক চলাফেরা টের পান পরিবারের লোকজন। সে থেকে একে অপরের সঙ্গ ছাড়তে চাপ শুরু হয়। কিন্তু সেই চাপের কাছে অবনত না হয়ে দু’জন পাড়ি জমান অজানার পথে। রাজধানী ঢাকা ছেড়ে ভাটি বাংলার সুনামগঞ্জের
উপজেলা সদরের দোয়ারাবাজারের এসে গা ঢাকা দেন দুজই। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের লোকজনের হাতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।